Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ব্যবসায়ী প্রহারে অভিযুক্ত হিরার দল

সত্যেন্দ্রবাবু অভিযোগ করেন, শনিবার সন্ধ্যায় তাঁদের দোকানের সামনে এক জনকে হেনস্থা করছিল হিরার অনুগামীরা। তিনি প্রতিবাদ করেন। তার পরেই মদ্যপ ওই দুষ্কৃতীরা রড, লাঠি নিয়ে তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয়। বাবা-ছেলেকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

দুর্গাপুরে আক্রান্ত ব্যবসায়ী। নিজস্ব চিত্র

দুর্গাপুরে আক্রান্ত ব্যবসায়ী। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৭ ০২:১০
Share: Save:

শাসক দলের কাউন্সিলর থাকাকালীন একের পর এক দুষ্কর্মের অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। গত পুরভোটে তাই তাঁকে টিকিটই দেয়নি দল। তার পরেও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না দুর্গাপুরের তৃণমূল নেতা হিরা বাউরির। এ বার এক ব্যবসায়ী ও তাঁর বাবাকে মারধরের ঘটনায় নাম জড়াল তাঁর।

শনিবার সন্ধ্যায় জনা ছয়েক দুষ্কৃতী দুর্গাপুরের ফরিদপুরে ওষুধ ব্যবসায়ী সুমন্ত মণ্ডলের বাড়িতে ঢুকে তাঁকে ও তাঁর বাবা সত্যেন্দ্রবাবুকে মারধর করে বলে অভিযোগ। সত্যেন্দ্রবাবুর অভিযোগ, ‘‘হামলাকারীদের মধ্যে জনা তিনেককে চিনি। হিরা বাউরির অফিসে ওদের দেখেছি।’’ হিরার যদিও দাবি, ‘‘গ্রামীণ বিবাদের জেরে এমন ঘটে থাকতে পারে। আমি শহরেই নেই। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে।’’

২০১২ সালে ভোটে জেতার পর থেকেই দুর্গাপুরের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর হিরার নাম জড়িয়েছে নানা গোলমালে। তথ্যপ্রযুক্তি পার্কে তাণ্ডব, পানশালায় গোলমাল পাকানো, ঠিকাদারকে হেনস্থা থেকে ধর্ষণের চেষ্টা— বিভিন্ন ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছেন তিনি। গ্রেফতারও হয়েছেন। মাস দুয়েক আগে ফরিদপুর মোড়ে সুমন্তবাবুর ওষুধের দোকানের সামনে গাড়ি রাখা নিয়ে বিবাদে জড়ান হিরা ও তাঁর অনুগামীরা। অভিযোগ, তখনও সুমন্তবাবুকে মারধর করা হয়।

সত্যেন্দ্রবাবু অভিযোগ করেন, শনিবার সন্ধ্যায় তাঁদের দোকানের সামনে এক জনকে হেনস্থা করছিল হিরার অনুগামীরা। তিনি প্রতিবাদ করেন। তার পরেই মদ্যপ ওই দুষ্কৃতীরা রড, লাঠি নিয়ে তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয়। বাবা-ছেলেকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। সত্যেন্দ্রবাবুকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হলেও সুমন্তবাবু দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর অভিযোগ, ‘‘আমাকে বেধড়ক মারধর করেছে। গলার হারও ছিনিয়ে নিয়েছে দুষ্কৃতীরা।’’ দুর্গাপুর থানায় অভিযোগ করেন সত্যেন্দ্রবাবু। তবে তাতে হিরার নাম নেই।

তৃণমূল নেতৃত্ব জানান, বারবার গোলমালে নাম জড়ানোর জন্যই হিরাকে এ বার পুরভোটে প্রার্থী করা হয়নি। দলের কোনও পদেও রাখা হয়নি তাঁকে। তৃণমূলের দুর্গাপুর জেলা সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দলের নামে গুন্ডামি বরদাস্ত করা হবে না। পুলিশ ব্যবস্থা নিক।’’ রবিবার রাত পর্যন্ত অবশ্য কেউ গ্রেফতার হয়নি। পুলিশ জানায়, অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE