Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

পুরপ্রধানকে সরাতে চেয়ে চিঠি দাঁইহাটে

পুরপ্রধান বিদ্যুৎবরণ ভক্ত পুরসভায় হাজির না থাকায় উপ-পুরপ্রধান প্রদীপ রায় এবং হেড ক্লার্ক মধুসূদন রবাবি চিঠিটি নেন। প্রদীপবাবু-সহ সিপিএমের আরও দু’এক জন কাউন্সিলর তাঁদের দলে যোগ দিতে পারেন বলে তৃণমূলের একাংশের দাবি।

মিছিল করে পুরসভায় চিঠি দিতে চলেছেন তৃণমূল নেতারা। নিজস্ব চিত্র

মিছিল করে পুরসভায় চিঠি দিতে চলেছেন তৃণমূল নেতারা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাটোয়া শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০০:৫৫
Share: Save:

কাউন্সিলর সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে দাঁইহাটে পুরপ্রধানকে অপসারণের জন্য চিঠি দিলেন আট কাউন্সিলর। সোমবার পুরসভায় ওই চিঠি জমা দেন তাঁরা। সেটির প্রতিলিপি জেলাশাসকের দফতরে পাঠানো হয়েছে বলেও ওই কাউন্সিলররা জানান।

এ দিন পুরপ্রধান বিদ্যুৎবরণ ভক্ত পুরসভায় হাজির না থাকায় উপ-পুরপ্রধান প্রদীপ রায় এবং হেড ক্লার্ক মধুসূদন রবাবি চিঠিটি নেন। প্রদীপবাবু-সহ সিপিএমের আরও দু’এক জন কাউন্সিলর তাঁদের দলে যোগ দিতে পারেন বলে তৃণমূলের একাংশের দাবি। দলবদল করছেন কি না, সে প্রশ্ন এড়িয়ে এ দিন প্রদীপবাবু বলেন, ‘‘দাঁইহাটের উন্নয়ন হোক সেটাই চাই। হয়তো তিন বছরে এই পুরবোর্ড সেই উন্নয়ন করতে পারেনি। রাজ্য জুড়ে অন্য পুরসভায় তৃণমূলের হাত ধরে যখন উন্নয়ন হচ্ছে তখন আশা করা যায়, এখানেও তা হবে।’’

২০১৫ সালের পুরভোটে ১৪ আসনের এই পুরসভার ৯টিতে জেতে সিপিএম। তৃণমূল ৪টি ও বিজেপি একটি আসন পায়। শুক্রবার তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাসের হাত ধরে চার সিপিএম কাউন্সিলর দল পাল্টান। ফলে, তৃণমূলের দখলে আসে ৮টি আসন। তাঁরাই এ দিন পুরপ্রধানকে অপসারণের দাবিতে সভা ডাকার আর্জি জানিয়ে এ দিন চিঠি দেন পুরসভায়। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পুর আইন অনুযায়ী ১৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে কাউন্সিলরদের ডেকে বৈঠক করার কথা পুরপ্রধানের। তিনি তা না করলে পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে সেই বৈঠক ডাকতে পারবেন উপ-পুরপ্রধান।

কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘তিন বছরে উন্নয়ন তো হয়নি, আবার যাতে কাউন্সিলররা তৃণমূলে আসতে না পারেন সে জন্য রীতিমতো বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিচ্ছিলেন সিপিএম নেতারা। তা উপেক্ষা করেই তাঁরা তৃণমূলে আসায় বোঝা যায়, তাঁরা নাগরিকদের পরিষেবা দিতে চান।’’ এ দিন অপসারণের চিঠি দেওয়ার পরে তৃণমূল কাউন্সিলর শিশির মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘রাস্তা সংস্কার থেকে শুরু করে বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা, কোনও ক্ষেত্রেই পুরসভা উদ্যোগী ছিল না।’’ শাসকদলের নেতৃত্বে এ বার শহরের চেহারা পাল্টাবে বলে তাঁর দাবি। এ দিন দাঁইহাট পুরসভার সিটুর বেশ কয়েকজন সদস্য আইএনটিটিইউসি-র পুর কর্মচারী ফেডারেশনে যোগ দেন। ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক আশিষ দে।

পুরপ্রধান বিদ্যুৎবরণ ভক্ত যদিও সোমবার বলেন, ‘‘অপসারণ সংক্রান্ত কোনও চিঠি হাতে পাইনি। তবে উন্নয়নের বিষয়ে পুরসভা এত দিন নিষ্ক্রিয় ছিল, এ কথা ভুল। বরং, বিরোধী দলের পুরসভা হওয়ায় বঞ্চনা করছিল রাজ্য সরকার।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE