আগের দিনই লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছে বাম গণ সংগঠনগুলি। এর পরেই শুক্রবার নতুন জেলা নিয়ে এক সম্মেলনে যোগ দিলেন দুর্গাপুরের তৃণমূলের নেতারা। শহরের মেয়র, মেয়র পারিষদ-সহ এক ঝাঁক তৃণমূল কাউন্সিলর শুক্রবার হাজির হলেন বার অ্যাসোসিয়শনের সম্মেলনে। তবে প্রাক্তন এক মেয়র পারিষদ ছাড়া কেউ বক্তব্য রাখলেন না।
প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রস্তাবিত নতুন জেলায় দুর্গাপুর মহকুমার অন্তর্গত কাঁকসা থানার কিছু অংশ এবং পুরো বুদবুদ থানা এলাকা থাকছে না। রানিগঞ্জে নতুন মহকুমা হলে অন্ডাল ও পাণ্ডবেশ্বরের অংশও সেখানে চলে যেতে পারে। তা কোনও ভাবেই মানা হবে না দাবি করে আন্দোলনে নেমেছেন দুর্গাপুর আদালতের আইনজীবীরা। বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ সত্ত্বেও টানা কর্মবিরত করছেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার বামেদের ১৩টি গণ সংগঠনের যৌথ মঞ্চ এ বিষয়ে সর্বদল বৈঠকের দাবিতে মহকুমাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয়। নতুন জেলায় দুর্গাপুর মহকুমার গুরুত্ব যাতে অটুট থাকে সে জন্য টানা আন্দোলন চলবে বলে ওই মঞ্চের তরফে জানানো হয়। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বকে এত দিন ময়দানে নামতে দেখা যায়নি।
শুক্রবার বার অ্যাসোসিয়েশনের জেলা ভাগ নিয়ে সম্মেলনে বণিকসভার প্রতিনিধি থেকে শহরের বাম ও কংগ্রেসের দুই বিধায়ক, রানিগঞ্জের সিপিএম বিধায়কেরা মঞ্চে ছিলেন। শহরের মেয়র অপূর্ব মুখোপাধ্যায়, মেয়র পারিষদ প্রভাত চট্টোপাধ্যায়, লাভলি রায়-সহ তৃণমূলের বেশ কিছু কাউন্সিলর সভায় এলেও মঞ্চে ওঠেননি। তৃণমূলের তরফে শুধু মঞ্চে ওঠেন প্রাক্তন মেয়র পারিষদ প্রমোদ সরকার। তিনি জানান, মহকুমার বিভাজনের যে তথ্য শোনা যাচ্ছে তা সত্যি হলে ব্যক্তিগত ভাবে তিনি সমর্থন করেন না। গোটা বিষয়টি নিয়ে অবশ্য মেয়র অপূর্ববাবু কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy