Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

বিশ্বকাপের টিকিট পাননি বিশ্বনাথও

পুজোর ছুটির মধ্যেই গত শনিবার বিধানসভা খুলিয়ে শাসক দলের মুখ্য সচেতকের ঘর থেকে ‘চুপিসারে’ শুধু তৃণমূল বিধায়কদের যুব বিশ্বকাপের টিকিট বিলি করা হয় বলে অভিযোগ। প্রত্যেক বিধায়কের জন্য বরাদ্দ ছিল চারটি করে টিকিট।

সুব্রত সীট
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৭ ০৭:১০
Share: Save:

তিনি দুর্গাপুরের কংগ্রেস বিধায়ক। তাঁর স্ত্রী তৃণমূলের কাউন্সিলর। বিরোধীশূন্য দুর্গাপুর পুরসভায় কাউন্সিলরদের শপথ অনুষ্ঠানে কোনও বিরোধী উপস্থিত না থাকলেও একমাত্র তাঁর থাকাটাই নজর কেড়েছিল। সেই তিনি, বিশ্বনাথ পাড়িয়াল ফুটবলের যুব বিশ্বকাপের টিকিট পাননি। আর তা নিয়ে শহরে নানা মহলে শুরু হয়েছে ফিসফিসানি।

পুজোর ছুটির মধ্যেই গত শনিবার বিধানসভা খুলিয়ে শাসক দলের মুখ্য সচেতকের ঘর থেকে ‘চুপিসারে’ শুধু তৃণমূল বিধায়কদের যুব বিশ্বকাপের টিকিট বিলি করা হয় বলে অভিযোগ। প্রত্যেক বিধায়কের জন্য বরাদ্দ ছিল চারটি করে টিকিট। টিকিট বিলি চলাকালীন সেখানে হাজির হয়ে প্রতিবাদ করেন কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক মনোজ চক্রবর্তী ও কংগ্রেস বিধায়ক আখরুজ্জামান। সেই দলেরই টিকিটে দুর্গাপুর পশ্চিম কেন্দ্র থেকে জিতে বিধায়ক হয়েছেন তৃণমূল ছেড়ে আসা বিশ্বনাথবাবু। তবে বিধানসভা ভোটে জেতার কিছু দিনের মধ্যেই তাঁকে ফের তৃণমূলে যোগাযোগ বাড়াতে দেখা যায়।

তৃণমূল সূত্রের খবর, সদ্য সমাপ্ত পুরভোটে শহরের ১৪টি ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের টিকিটে জিতে কাউন্সিলর হয়েছেন তাঁর স্ত্রী ও কয়েক জন অনুগামী। তৃণমূলের মিছিল, কর্মিসভায় উপস্থিতি, শাসক দলের প্রার্থীদের হয়ে ভোট চাওয়া— সবেতেই তখন প্রকাশ্যে দেখা মিলেছিল বিশ্বনাথবাবুর। এ হেন ‘তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ’ কংগ্রেস বিধায়ক যুব বিশ্বকাপের টিকিট পাবেন, এমনটাই অনুমান ছিল তাঁর অনুগামীদের। কিন্তু, এ পর্যন্ত তাঁর টিকিট-ভাগ্য না খোলায় অনেকেই বিস্মিত। তা দেখে কংগ্রেস নেতা-কর্মী থেকে শহরের মানুষের একাংশের দাবি, পুরভোট ফুরনোর পর থেকেই দুর্গাপুরে তৃণমূলের সভা-সমিতিতে আর তেমন গুরুত্ব পাচ্ছেন না বিশ্বনাথবাবু। শনিবার টিকিট না পাওয়া সেই ধারণাই খানিকটা উস্কে দিয়েছে।

নিজের তৃণমূল-ঘনিষ্ঠতা প্রসঙ্গে রবিবার বিশ্বনাথবাবুর দাবি, ‘‘এটা উন্নয়নের জন্যই।’’ আর টিকিট না পাওয়া? বিশ্বনাথবাবুর জবাব, ‘‘শনিবার ব্যস্ত ছিলাম, তাই টিকিট নিতে যেতে পারিনি। সোমবার কলকাতায় গিয়ে টিকিট নেব।’’ অর্থাৎ, কোনও বিরোধী বিধায়ক যা পাননি, তিনি তা পাবেন বলেই মনে করেন বিশ্বনাথবাবু।

পাশের কেন্দ্র, দুর্গাপুর পূর্বের সিপিএম বিধায়ক সন্তোষ দেবরায় টিকিট পাননি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘টিকিটের দরকার নেই। তবে বিষয়টি নিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ করেছেন আমাদের নেতা সুজন চক্রবর্তী।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE