Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

চাপ দিয়ে প্রার্থী সরানোর নালিশ

কংগ্রেসের জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, বুধবার রাতে তাঁদের প্রার্থী রেহেনা বারিকের বাড়ি গিয়ে তৃণমূল কর্মীরা তাণ্ডব চালায়। তাঁকে ভয় দেখানো হয় ও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ফর্মে সই করতে বাধ্য করা হয়।

উল্লাস: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতার পরে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী মধুসূদন মণ্ডলের সমর্থকদের মিছিল। নিজস্ব চিত্র

উল্লাস: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতার পরে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী মধুসূদন মণ্ডলের সমর্থকদের মিছিল। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৭ ০১:১৫
Share: Save:

বিরোধী কোনও প্রার্থী নেই ওয়ার্ডে। তাই পুরভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে চলেছেন দুর্গাপুরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী মধুসূদন মণ্ডল। বৃহস্পতিবার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন এই ওয়ার্ডের কংগ্রেস এবং বিজেপি প্রার্থী। শাসকদলের লোকজন চাপ দিয়ে তাদের প্রার্থীকে মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে দুই দলেরই। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ কংগ্রেস প্রার্থী রেহানা বরকি ও সওয়া ১টা নাগাদ বিজেপি প্রার্থী অলককুমার সাউ মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। অন্য কোনও দল বা নির্দল— কোনও প্রার্থী এই ওয়ার্ডে না দাঁড়ানোয় ভোটের আগেই জয় পেয়ে গেলেন মধুসূদনবাবু।

কংগ্রেসের জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, বুধবার রাতে তাঁদের প্রার্থী রেহেনা বারিকের বাড়ি গিয়ে তৃণমূল কর্মীরা তাণ্ডব চালায়। তাঁকে ভয় দেখানো হয় ও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ফর্মে সই করতে বাধ্য করা হয়। দেবেশবাবুর অভিযোগ, ‘‘বিরোধী দল বা নির্দল প্রার্থীদের লাগাতার ভয় দেখিয়ে দুর্গাপুরে দমবন্ধ সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে তৃণমূল। প্রার্থীদের বাধ্য করা হচ্ছে নাম প্রত্যাহারে। দুর্গাপুরবাসী এর জবাব ভোটবাক্সে দেবেন।’’ একই অভিযোগ করেন বিজেপি নেতারাও।

এ দিন দুপুরেই মহকুমা নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর থেকে জয়ের শংসাপত্র সংগ্রহ করে নেন মধুসূদনবাবু। বিকেলে এলাকায় মিছিল বের করেন তিনি। তৃণমূলের দুর্গাপুর ২ ব্লক সভাপতি শরবিন্দু বিশ্বাস বলেন, ‘‘ভিত্তিহীন অভিযোগ। কেউ কাউকে জোর করেননি। এলাকার উন্নয়নের স্বার্থেই বিরোধী দুই প্রার্থী সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’’

মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস ও বিজেপি প্রার্থী ছাড়াও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের দু’জন এবং ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের এক নির্দল প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। এর আগে লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআই প্রার্থী। মঙ্গলবার রাতে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থীর বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের এক প্রার্থীকে মনোনয়ন প্রত্যাহার না করার জন্য শাসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সিপিএম। তৃণমূল নেতাদের যদিও দাবি, ভোটের আগে সহানুভূতি কুড়োতে মিথ্যে অভিযোগ করছে বিরোধীরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Trinamool Congress Political Party
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE