Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

গরম পড়তে রক্তের সঙ্কট হাসপাতালে

৬ এপ্রিল, চন্দননগর— রক্ত দেওয়ার কথা ১০০ জনের। দিলেন ১৭ জন। ২২ মার্চ বর্ধমান—১০০ জনের মধ্যে রক্ত দিলেন ২৪ জন।

সৌমেন দত্ত
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৭ ০২:১৮
Share: Save:

৬ এপ্রিল, চন্দননগর— রক্ত দেওয়ার কথা ১০০ জনের। দিলেন ১৭ জন।

২২ মার্চ বর্ধমান—১০০ জনের মধ্যে রক্ত দিলেন ২৪ জন।

১৮ মার্চ, গলসি— রক্ত দেওয়ার কথা ছিল ১০০ জনের। দিয়েছেন ৫৪জন।

উপরের তথ্যই বলছে গরম পড়তেই বর্ধমান জেলা জুড়ে রক্তদান শিবিরে রক্তদাতাদের দেখা মিলছে না। আয়োজকরা যত রক্তদাতার সংখ্যা বলে ‘বুক’ করছেন, শিবিরে সেই সংখ্যার ধারে কাছেও পৌঁছনো যাচ্ছে না। ফলে, ব্লাড ব্যাঙ্কগুলি গরম পড়তেই রক্তাল্পতায় ভুগতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে রক্ত পেতে গেলে রক্ত দেওয়ার অলিখিত নিয়ম চালু হয়েছে বর্ধমান মেডিক্যালে।

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা যায়, তাঁদের হাসপাতালে প্রতিদিন একশোরও বেশি রক্তের ইউনিটের প্রয়োজন হয়। ওই রক্ত মজুতের পাশাপাশি জরুরি ভিত্তিতে সব সময় ৫০ থেকে ৭৫ ইউনিট রক্ত মজুত রাখতে হয়। ওই রক্ত থ্যালাসেমিয়া রোগী ও দুর্ঘটনাগ্রস্থদের জন্য ব্যবহার করা হয়। শুধু তাই নয়, কাটোয়া, কালনা কিংবা বোলপুর-রামপুরহাট হাসপাতালেও রক্ত পাঠাতে হয় এখান থেকে। সেই কারণেই রোগীর আত্মীয়দের যে কোনও গ্রুপের এক ইউনিট রক্ত দান করে প্রয়োজনীয় গ্রুপের রক্ত নিয়ে যেতে বলা হয়। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক সুদীপ ধীবর বলেন, “নার্সিংহোম বা বেসরকারি হাসপাতালে ক্ষেত্রে ওই নিয়মের কড়াকড়ি রয়েছে। তবে হাসপাতালের রোগী হলে কড়াকড়ি করা হয় না। সবাইকে তো বুঝতে হবে, আমাদের ঘরে রক্ত মজুত না-থাকলে কী ভাবে রোগীকে দেব? সে জন্যই ওই পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।”

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, স্বাস্থ্য দফতরের অতিরিক্ত সচিব সৌমিত্র মোহন রক্তদানের বার্ষিক ক্যালেন্ডার তৈরির নির্দেশিকা দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশিকা কী সার হয়ে গেল? বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে নিয়মিত রক্ত মজুতের হিসেব প্রকাশ্যে না রাখা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। হাসপাতালের ডেপুটি সুপার অমিতাভ সাহার যদিও দাবি, “জেলা স্বাস্থ্য দফতরের ডেপুটি সিএমওএইচ (২) সরকারের নির্দেশিকা নিয়ে রূপরেখা তৈরি করছেন। আর রক্ত মজুতের হিসেব আমরা অনলাইনে দিয়ে দিচ্ছি। প্রকাশ্যও কম্পিউটারাইজড করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।” ব্লাড ব্যাঙ্কের আঞ্চলিক অধিকর্তা সোমা দত্তঘোষও বলেন, “গরম পড়তেই রক্তের টান দেখা দিয়েছে। কাটোয়া-সহ বেশ কয়েকটি ব্লাড ব্যাঙ্ক সরকারের নির্দেশিকা মেনে বার্ষিক ক্যালেন্ডার করেছে। বাকিদেরও বলা হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE