Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়

দুর্নীতি মেধা তালিকায়, চলল ঘেরাও

এসএফআইয়ের পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক দীপঙ্কর সরকারের দাবি, “দুর্নীতি হয়েছে বলেই ওয়েবসাইট থেকে মেধা তালিকা তুলে দিয়ে নতুন করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মেধা তালিকা তৈরির সংস্থা স্নাতকোত্তরেও ভর্তির তালিকা করবে শুনে আঁতকে উঠছি।”

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৭ ০০:৪৭
Share: Save:

বিএডের মেধাতালিকায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন কয়েকশো আবেদনকারী। সোমবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরিচালিত ছাত্র সংসদ ওই তালিকা বাতিলের দাবিতে উপাচার্যকে ঘেরাও করে রাখে। শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ‘অনিবার্য কারণে’ ওই মেধাতালিকা বাতিল বলে ঘোষণা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, আগামী ৬ জুলাই বিকেল তিনটের পরে ফের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে।

উপাচার্য নিমাই সাহা বলেন, “সম্পূর্ণ প্রযুক্তিগত কারণে মেধা তালিকায় ভুল হয়েছে। দীর্ঘ বৈঠক করে কী কী কারণে ওই ভুল তা খতিয়ে দেখার পরে মেধাতালিকা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের হুগলি, বাঁকুড়া, বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমান জেলায় ১১৮টি কলেজ রয়েছে। বি-এডের ১১ হাজার ৮০০ আসনের জন্য প্রথম দফায় ১,৪৯৩ জন আবেদন করেছিলেন। সময়সীমা বাড়ানোর পরে আরও ৭৫৬ জন আবেদন করেন। সোমবার সকালে সেই আবেদনের মেধাতালিকা প্রকাশ হয়। কিন্তু দেখা যায়, ওই মেধা তালিকায় প্রায় ৮৫২ জনের নাম নেই। বিভিন্ন জেলা থেকে আবেদনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে জমা হয়ে দুপুর থেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।

আবেদনকারীদের টিপ্পনী, “সব আবেদনকারীই তো ভর্তির সুযোগ পাবেন, তারপরেও মেধাতালিকায় ভুল!” কেতুগ্রামের সৌরভ মজুমদার, হুগলির আরামবাগের প্রশান্ত মণ্ডলদের কথায়, “কলেজ বাছাই করার জন্য এই মেধাতালিকা। সেখানে বহু আবেদনকারীর নামই নেই। তার উপর মঙ্গলবার থেকেই কাউন্সেলিংয়ের তারিখ দেওয়া হয়েছে। আমরা ওই তালিকা বাতিলের দাবি জানিয়েছি।” অনেক আবেদনকারীর ক্ষোভ, অনেক কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘এড়িয়ে’ সরাসরি বিএডে ছাত্র ভর্তি করে নিচ্ছে। সে জন্যই অনলাইনে আবেদন কম পড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা জানান, এই বিষয়টি নিয়ে তাঁরা ইতিমধ্যে আলোচনা করেছেন।

এসএফআইয়ের পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক দীপঙ্কর সরকারের দাবি, “দুর্নীতি হয়েছে বলেই ওয়েবসাইট থেকে মেধা তালিকা তুলে দিয়ে নতুন করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মেধা তালিকা তৈরির সংস্থা স্নাতকোত্তরেও ভর্তির তালিকা করবে শুনে আঁতকে উঠছি।” ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক নন্দীও বলেন, “আমাদের দাবি কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়েছেন। আমরা চাই, তালিকা প্রকাশ করে আবেদনকারীদের সুযোগ দেওয়া হোক। ভুল থাকলে দু-তিন দিনের মধ্যে সংশোধন করে ফের তালিকা প্রকাশ করে কাউন্সেলিংয়ের তারিখ জানানো হোক।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE