বিয়েবাড়িতে পড়শি যুবকের অশালীন আচরণের প্রতিবাদ করেছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রীর বোন। তার পরেই দুই বোনকে দফায়-দফায় হেনস্থা, বাড়িতে চ়ড়াও হয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল ওই যুবক ও তার বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।
কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী তৃণমূলের পূর্ণিমা বাউরির বোন সুজাতা বাউরি বৃহস্পতিবার অমর বাউরি নামে ওই যুবক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। পূর্ণিমাদেবীর অভিযোগ, ‘‘আমি পদ থেকে সরে যাওয়ার পরে এলাকায় থাকতে দেবে না, বাড়িতে এসে এমন হুমকি দিয়েছে ওরা।’’ পেশায় দিনমজুর অমরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি অভিযুক্তেরা পলাতক।
কাঁকসার বিরুডিহায় বুধবার রাতে পাড়ার একটি বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন পূর্ণিমাদেবী ও সুজাতা। তাঁদের অভিযোগ, সেখানেই অমর সুজাতার সঙ্গে অভব্য আচরণ শুরু করে। সুজাতা প্রতিবাদ করেন। বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার সময়ে অমর ও তার বাড়ির লোকেরা লাঠিসোটা নিয়ে তাঁদের রাস্তা আটকায়। সুজাতার অভিযোগ, ‘‘আমি চিৎকার-চেঁচামেচি করলে অমর লাঠির বাড়ি মারে। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আমাদের বাঁচান।’’ পূর্ণিমাদেবীর দাবি, রাতে আবার তাঁদের বাড়িতে ‘হামলা’ হয়। বোনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হলে বাধা দিতে গিয়ে তিনি নিগৃহীত হন বলে অভিযোগ। তাঁর কথায়, ‘‘গালিগালাজ, খুনের হুমকি দিচ্ছিল ওরা। আমাকেও টানাহ্যাঁচড়া করে।’’ রাতেই পুলিশ গ্রামে গিয়ে অমরকে আটক করে। অভিযোগ, তার পরে ফের তার আত্মীয়েরা পূর্ণিমাদেবীর বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেয়।
সুজাতা বলেন, ‘‘ওই পরিবারটির সঙ্গে আমাদের বাড়ির পুরনো ঝামেলা রয়েছে। তা বলে এ ভাবে চড়াও হয়ে হামলা, মারধর করবে ভাবিনি!’’ স্থানীয় বাসিন্দা সমরেশ মুখোপাধ্যায়, বিমান মণ্ডলদের প্রশ্ন, ‘‘পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রীর পরিবারের উপরেই যদি এ ভাবে হামলা হয়, তবে সাধারণ মানুষ কতটা নিরাপদ!’’ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা কাঁকসার তৃণমূল নেতা পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অনভিপ্রেত ঘটনা। পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক।’’ এ দিন দুর্গাপুর আদালত ধৃতকে ১৪ দিন জেল-হাজতে পাঠায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy