১৫ জনকে শনাক্তকরণের জন্য দরকার ১৩৫ জন। কিন্তু তদন্তকারী অফিসার বুধবার আদালতে অত লোক হাজির করাতে পারেননি। হাবরার বিডিও-নিগ্রহে অভিযুক্তদের শনাক্তকরণ তাই আবার পিছিয়ে গেল।
এর আগে, ৪ এপ্রিল দোষীদের শনাক্তকরণের জন্য ডাকা হয়েছিল হাবরা-২ ব্লকের বিডিও দীনবন্ধু গায়েনকে। কিন্তু ওই দিন তিনি অসুস্থ বলে আদালতে জানানো হয়। তাই সে-দিন শনাক্তকরণ হয়নি।
বুধবার ফের বারাসত আদালতে শনাক্তকরণের দিন ধার্য হয়েছিল। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী এক জন অভিযুক্তকে শনাক্ত করতে গেলে তার সঙ্গে আরও ন’জন লোক লাগে। মোট ১০ জনের মধ্যে থেকে প্রকৃত দোষীকে শনাক্ত করতে হয়। অর্থাৎ ১৫ অভিযুক্তের জন্য আরও ১৩৫ জন চাই। কিন্তু অত লোক হাজির করাতে না-পারায় এ দিনের পরিবর্তে ২৮ এপ্রিল পরবর্তী শনাক্তকরণের দিন ধার্য করা হয়েছে।
২৪ মার্চ সরকারি জায়গা থেকে তৃণমূলের পোস্টার-ব্যানার খোলার ব্যবস্থা করেছিলেন দীনবন্ধুবাবু। স্থানীয় তৃণমূলকর্মীরা প্রশ্ন তোলেন, বিরোধীদের পোস্টার বা ব্যানার না-সরিয়ে কেন বেছে বেছে তৃণমূলেরই পোস্টার বা ব্যানার সরানো হচ্ছে? অভিযোগ, পরের দিন লোকজন নিয়ে বিডিও অফিসে হাজির হন অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক ধীমান রায়। পুলিশি সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই ঘটনার কথা লিখিত ভাবে জানালেও অভিযোগপত্রে ধীমানবাবুর নাম উল্লেখ করেননি দীনবন্ধুবাবু। পরে তিনি দাবি করেন, বিধায়কের উপস্থিতিতে তাঁকে নিগ্রহ করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেয়ে দু’দফায় ১৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের সঙ্গে আরও কয়েক জনকে এ দিন শনাক্তকরণের জন্য আদালতে হাজির করানো হয়।
অভিযুক্তদের শনাক্তকরণের জন্য পুলিশ প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোক জোগাড় করতে পারল না কেন?
জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “মামলার তদন্তকারী অফিসারের কাছে ১৩৫ জনকে হাজির করানোর নির্দেশ ছিল না। হঠাৎ এত লোক জোগাড় করা সম্ভব নয়।” পুলিশের অন্য এক কর্তার কথায়, জেলের মধ্যে এই শনাক্তকরণ হলে লোক পেতে অসুবিধা হয় না। কিন্তু আদালতে একসঙ্গে এত লোক জোগাড় করে নিয়ে আসা খুবই অসুবিধার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy