তাণ্ডব: মাইক বাজিয়ে সোমবার এভাবে চলে মিছিল। ছবি: তাপস ঘোষ
প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে রামনবমীর মিছিলে অস্ত্র প্রদর্শন-সহ নানা অভিযোগে বিভিন্ন সংগঠনের বিরুদ্ধে মামলা করে তদন্ত শুরু করল পুলিশ।
অস্ত্র ব্যবহার, শিশুদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া, ডিজে বক্স ব্যবহার, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ-সহ কয়েকটি সংগঠনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ। মঙ্গলবার এক জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শোভাযাত্রার ভিডিও ফুটেজ দেখে মিছিলকারীদের শনাক্তকরণের কাজও শুরু হয়েছে।
রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে গত রবি ও সোমবার চুঁচুড়া ও চন্দননগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে রাম ও হনুমানের মূর্তি নিয়ে শোভাযাত্রা বেরোয়। শোভাযাত্রায় অস্ত্র প্রদর্শনে কড়া নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। শিশু, মহিলা, পুরুষ নির্বিশেষে অস্ত্র উঁচিয়ে মিছিলে হাঁটেন। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার কথা বেমালুম ভুলে রাস্তায় রাস্তায় বেজেছে ডিজে— তারস্বরে। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘‘সমস্ত ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনি পদক্ষেপ করা হবে।’’
মামলা দায়ের করা হয়েছে হাওড়া জেলায়ও। গত রবিবার উলুবেড়িয়ায় রামনবমীর মিছিলে অস্ত্র নিয়ে যাঁরা হেঁটেছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সেখানেও অস্ত্র হাতে নাবালকের দেখা মিলেছে। কারা তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিল, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ। ‘রামনবমী উদ্যাপন সমিতি’ নামে একটি সংগঠনের নামে সে দিন মিছিল হয় গঙ্গারামপুর মোড় থেকে কালীবাড়ি পর্যন্ত। ওটি রোড ধরে যাওয়া মিছিলে অনেকের হাতেই দেখা গিয়েছিল তলোয়ার, দা, বল্লম। মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন বিজেপির গ্রামীণ জেলা সভাপতি অনুপম রায়।
মিছিলের যাত্রাপথে ছিল ২৪ টি সিসিটিভি ক্যামেরা। সেই ফুটেজে দেখেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ফুটেজ দেখে নির্দিষ্ট কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’’ বিজেপি নেতা অনুপম রায় অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘পুলিশ নিজে থেকে কিছু করছে না। শাসক দলের চাপেই তারা তড়িঘড়ি মামলা রুজু করছে। মিছিলে সব দলেরলোকই ছিলেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy