রেহাই: জখম পুলিশের শুশ্রূষা। নিজস্ব চিত্র
গত বছর দেগঙ্গা থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল এক নাবালিকা। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে বুধবার রাতে আমতার আনুলিয়ার চালুনিয়া গ্রামে আক্রান্ত হলেন সিআইডি অফিসাররা। তাঁদের পরিচয় নিয়ে প্রথমে সন্দেহ প্রকাশ করে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখান। তার পরে শুরু হয় মারধর। ছিনিয়ে নেওয়া হয় ওই নাবালিকা এবং তাকে অপহরণে অভিযুক্ত যুবককে। পুলিশ গিয়ে দুই মহিলা-সহ সিআইডি-র পাঁচ অফিসারকে উদ্ধার করেন। পরে অবশ্য ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় অলোক দলুই নামে অভিযুক্ত যুবককে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে দেগঙ্গার বছর ষোলোর ওই নাবালিকা নিখোঁজ হয়। তার পরিবার আমতার কুরটি খালপাড়ের বাসিন্দা, পেশায় জরির কারিগর অলোক দলুইয়ের নামে থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে। ওই দু’জনের ফোনে আলাপ হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করতে না-পারায় তার পরিবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। আদালতের নির্দেশে তদন্তভার নেয় সিআইডি।
তদন্তে নেমে সিআইডি জানতে পারে, নাবালিকাকে নিয়ে অলোক এই এক বছর কখনও গুজরাত, কখনও হুগলির নানা জায়গায় গা-ঢাকা দিয়ে থাকছিল। বুধবার গোপন সূত্রে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, আমতার চালুনিয়া গ্রামে এক আত্ময়ীরে বাড়িতে এসে লুকিয়ে রয়েছে অলোক। সিআইডি-র পাঁচ সদস্যের দলটি সেখানে হানা দেয়। অলোককে গ্রেফতার এবং নাবালিকাকে উদ্ধার করে তাঁরা যখন বেরোচ্ছেন, তখনই বিক্ষোভের মুখে পড়েন। বিক্ষোভকারীরা দাবি করতে থাকেন, মেয়েটি এখন সাবালক। অলোক তাকে বিয়ে করেছে। তাই নিয়ে যাওয়া যাবে না। ওই অফিসারদের পরিচয় নিয়ে সন্দেহও প্রকাশ করেন বিক্ষোভকারীরা। সিআইডি অফিসাররা আপত্তি না-শোনায় শুরু হয় মারধর। পুলিশ গিয়ে তাঁদের আমতা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
রাতেই পুলিশ ও সিআইডি ফের যৌথ অভিযান চালিয়ে অলোককে গ্রেফতার এবং তরুণীকে উদ্ধার করে ভবানী ভবনে নিয়ে যায়। সিআইডি-র পক্ষ থেকে কিছু গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে আমতা থানায়। হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, পুলিশের সাহায্য না-নিয়ে সিআইডি নাবালিকাকে উদ্ধার করতে গিয়েছিল। গ্রামের মানুষ ভুয়ো সিআইডি ভেবে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy