মৃত: প্রকাশ পটেকর
তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর বাড়ির পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার হল এক তরুণের মৃতদেহ। সোমবার সকালে মাখলার ১ নম্বর গভর্নমেন্ট কলোনির এই ঘটনায় মৃতের নাম প্রকাশ পটেকর (১৭)। তবে কী ভাবে ওই তরুণের মৃত্যু হল, তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। চন্দননগর কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ পরিস্কার হবে। তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রকাশের বাবা-মা চেন্নাইতে থাকেন। তার বাবা সেখানে গয়নার কাজ করেন। ছেলেবেলায় মাখলায় কাকা-কাকিমা, ঠাকুমার সঙ্গে থাকত প্রকাশ। পরে সে চেন্নাইতে বাবা-মায়ের কাছে চলে যায়। বছর দেড়েক আগে মাখলায় ফিরে আসে। রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল সে।
পরিবারের লোকেরা পুলিশকে জানিয়েছেন, শুক্রবার কাকভোরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল প্রকাশ। আর ফেরেনি। সন্ধ্যায় উত্তরপাড়া থানায় পরিবারের তরফে নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়। সোমবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ স্থানীয়রা দেখেন বাড়ির কাছেই একটি পুকুরে ভাসছে প্রকাশের দেহ। পুলিশ এসে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশের দাবি, মৃতদেহটি ফুলে গিয়েছিল। একাধিক দিন জলে থাকার জন্যই এমনটা হয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। দেহে কোনও আঘাতের চিহ্নও মেলেনি।
পরিজনরা জানান, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মোবাইলে মায়ের সঙ্গে পরীক্ষা নিয়ে ভীতির কথা বলেছিল প্রকাশ। ভোর ৪টে নাগাদ কাজে যাওয়ার জন্য এক আত্মীয় ঘুম থেকে উঠে দেখেন, প্রকাশের ঘরের দরজা-জানলা খোলা। আলো জ্বলছে। কিন্তু প্রকাশ ঘরে নেই। মৃতের ঠাকুমা সাধনা ব্রহ্মের কথায়, ‘‘নাতি সাঁতার জানত। খারাপ কোনও নেশা বা সঙ্গ ছিল না। কোনও শত্রুও ছিল না। কী করে এমন ঘটল, বুঝে উঠতে পারছি না।’’ কাকিমা দেবযানী ব্রহ্ম বলেন, ‘‘ওর মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা ছিল না। কী করে এমন হল, এটা আমাদেরও প্রশ্ন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy