সহযোগিতা: সেফ ড্রাইভ-সেভ লাইফ কর্মসূচির প্রচার। ছবি: দীপঙ্কর দে
অনেক সময়েই কম দৃষ্টিশক্তি নিয়েও চালকেরা গাড়ি চালান। তার জেরে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। আবার এই শীতের সময় কুয়াশার কারণে কম দৃশ্যমানতাতেও দুর্বল দৃষ্টিশক্তির চালকেরা বিপদে পড়তে পারেন। এ সব এড়াতেই ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইভ’ অভিযানের অঙ্গ হিসেবে ডানকুনি থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার সকালে গাড়ি-চালকদের চোখ পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করল। সহযোগিতায় ছিল ‘দৃষ্টিদীপ’ নামে ডানকুনিরই একটি আধুনিক চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্র।
দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের গায়ে ডানকুনি চৌমাথায় ওই শিবিরের আয়োজন হয়। ওই এলাকায় প্রতিদিন বহু ট্রাক আসে। চালকেরা ট্রাক থেকে মাল খালাসের জন্য অপেক্ষা করেন। ডানকুনি থানার ওসি প্রদীপ দাঁ এবং তাঁর সহকর্মীরা রাস্তা থেকে ট্রাক-চালকদের ডেকে এনে চোখ পরীক্ষা করান। অন্য গাড়ির চালকদেরও চোখ পরীক্ষা হয়। কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি (ট্রাফিক) মৃণাল সাহা এবং শ্রীরামপুরে এডিসিপি কামনাশিস সেন। তাঁরা পথ দুর্ঘটনা এড়াতে গতির প্রশ্নে গাড়ি-চালকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন।
মৃণালবাবু বলেন, ‘‘এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি চালানোর সময় বেঁধে দেওয়া গতিই চালকদের মেনে চলা উচিত। সিগন্যালকে মান্যতা দেওয়ার সঙ্গেই কর্মরত পুলিশের কথা শোনাও জরুরি চালকদের।’’ কামনাশিসবাবু জানান, এক্সপ্রেসওয়েতে যাঁরা কম গতিতে গাড়ি চালান, তাঁদের বাঁ-দিকে ঘেঁষে চালানো উচিত। দাঁড়িয়ে থাকা বা লেন ভাঙা গাড়ি বহু সময় বিপদ ডেকে আনে।
ডানকুনি চৌমাথা এলাকাটি কৃষিপ্রধান। এতদিন এই এলাকায় চোখের চিকিৎসার কোনও ভাল জায়গা ছিল না। ওই চক্ষু চিকিৎসাকেন্দ্রটি সেই অভাব পূরণ করবে বলেই এলাকাবাসীর আশা। এই কেন্দ্রে প্রেসার ও বায়োমেট্রি, ওসিটি, আল্ট্রাসোনোগ্রাফি, পেরিমেট্রি ও রেটিনাল লেসার, ফেকো, রেটিনার সার্জারি-সহ চোখের সব রকম চিকিৎসা হয়। বিতেন্দ্রনাথ বৈদ্য, তনুশ্রী চক্রবর্তী, সৌরভ সান্যাল, সুবিজয় সিংহ-র মতো বিশেষজ্ঞদের দিয়ে এখানে চোখের অস্ত্রোপচার হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy