প্রহৃত: চিকিৎসক। নিজস্ব চিত্র
ভুল চিকিৎসায় এক বৃদ্ধার মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে মঙ্গলবার রাতে তেতে ওঠে পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতাল। কর্তব্যরত চিকিৎসককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে মৃতার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে। পুলিশ আসার আগেই অবশ্য হামলাকারীরা পালায়। ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার কালো ব্যাজ পরে কাজ করেন ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
পান্ডুয়ার নামাজগ্রামের বাসিন্দা, বছর সত্তরের জয়বুরন্নেসা কুরেশি নামে ওই বৃদ্ধাকে মঙ্গলবার রাতেই ওই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। তিনি বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন। চিকিৎসক কৌশিক পাল তাঁর চিকিৎসা শুরু করেন। স্যালাইনে পাশাপাশি তাঁকে একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। তার আধ ঘণ্টা পরেই বৃদ্ধা মারা যান বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
বৃদ্ধার মৃত্যুর কথা জানামাত্র তাঁর পরিবারের লোকজন ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়ার অভিযোগ তুলে কৌশিকবাবুর উপরে চড়াও হন বলে অভিযোগ। তাঁর চশমাটিও ভেঙে দেওয়া হয়। কৌশিকবাবু বলেন, ‘‘বয়সজনিত কারণেই বৃদ্ধা মারা গিয়েছেন। আমি সঠিক চিকিৎসাই করেছিলাম। কিন্তু ওঁরা কেউ কথা শুনলেন না।’’ থানাতে অভিযোগও দায়ের করেছেন কৌশিকবাবু। মারধরের অভিযোগ মানেননি মৃতার পরিবারের লোকেরা। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
চিকিৎসকের উপরে হামলার নিন্দা করেছেন বিএমওএইচ শঙ্করনারায়ণ সরকার। তিনি জানান, পঁচিশ শয্যার এই হাসপাতালে মাত্র চার জন চিকিৎসক রয়েছেন। পান্ডুয়া ছাড়াও মেমারি, বর্ধমানের বহু রোগীও এখানে আসেন। এত পরিষেবা দেওয়ার পরেও এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে ভাবা যাচ্ছে না। হুগলির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বুধবার হাসপাতালে আসেন। গোটা ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy