Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

কিশোরীর মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির নালিশ, অবরোধ

বৃহস্পতিবার সকালে দাদপুরের হারিটের এই গোলমাল পুলিশ গিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে। বুধবার পম্পা ধাড়া (১৫) নামে ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়।

বিক্ষোভ: চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে অবরোধ স্থানীয়দের। নিজস্ব চিত্র

বিক্ষোভ: চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে অবরোধ স্থানীয়দের। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
দাদপুর শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০০:০২
Share: Save:

এক কিশোরীর মৃত্যুতে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুললেন তার পরিবারের লোকজন এবং গ্রামবাসী। ওই চিকিৎসক যে ওষুধের দোকানে রোগী দেখেন, সেখানে চড়াও হয়ে গ্রামবাসীরা দোকান-মালিককে মারধর করেন বলে অভিযোগ। চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে প্রায় এক ঘণ্টা রাস্তা অবরোধও হয়। বৃহস্পতিবার সকালে দাদপুরের হারিটের এই গোলমাল পুলিশ গিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে। বুধবার পম্পা ধাড়া (১৫) নামে ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পম্পার বাড়ি হারিটেই। জ্বর ও মাথার যন্ত্রণা হওয়ায় গত ২৭ জানুয়ারি পম্পাকে এলাকার চিকিৎসক অসীম রায়চৌধুরীর কাছে নিয়ে যান পরিবারের লোকেরা। পম্পার জন্ডিস বা টাইফয়েড হয়েছে, এই সন্দেহে তার রক্ত পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন অসীমবাবু। গত মঙ্গলবার পম্পার রক্ত পরীক্ষায় লিউকোমিয়া এবং জন্ডিস ধরা পড়ে। সে দিকেলে ফের জ্বর বাড়ে পম্পার। তাকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার পরেও তার অবস্থার উন্নতি হয়নি।

পম্পার মৃত্যুর কথা জানাজানি হতেই বৃহস্পতিবার সকালে ওই ওষুধের দোকানে চড়াও হন কিছু গ্রামবাসী। সেই সময় সেখানে অসীমবাবুও উপস্থিত ছিলেন। দোকান-মালিকের উপরে হামলার খবর পেয়ে পুলিশ যায়। মারমুখী গ্রামবাসীদের হাত থেকে দোকান-মালিক এবং অসীমবাবুকে উদ্ধার করে পুলিশ প্রথমে একটি তৃণমূল কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে রাখে। সেখানেও গ্রামবাসী বিক্ষোভ শুরু করেন। ১২টা থেকে চুঁচুড়া-তারকেশ্বর রোড অবরোধ করা হয়। পুলিশ দোকান-মালিক ও অসীমবাবুকে থানায় নিয়ে যায়।

থানায় কিছু না-জানালেও পম্পার মা জ্যোৎস্নাদেবীর অভিযোগ, ‘‘মাঝেমধ্যেই মেয়ের জ্বর হচ্ছিল। অসীমবাবুকে দেখিয়ে ওষুধ খাওয়াতাম। কমে যেত। কিন্তু এ বার বাড়াবাড়ি হল। ডাক্তারবাবু রক্ত পরীক্ষার কথা আগে কেন বললেন না? তিনি কখনই এই রোগের কথা জানাননি। তা হলে হয়তো কোনও ভাবে মেয়েটাকে বাঁচানো যেত।’’ অশোক ধাড়া নামে এক গ্রামবাসী বলেন, ‘‘ওই চিকিৎসকের উপরেই পরিবারটা নির্ভর করে ছিল। তিনি আগে থেকে কিছু জানাননি।’’

অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন অসীমবাবু। তিনি বলেন, ‘‘মেয়েটিকে প্রথমে জ্বরের ওষুধ দিয়ে রক্ত পরীক্ষার পরামর্শ দিয়েছিলাম। সেই রিপোর্ট আমাকে আর দেখানো হয়নি। এতে আমার দোষ কোথায়?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Girl Dead Accident
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE