বাবা-মা থেকে কোচ, পড়শি— সকলের একটাই আর্তি! পায়ের চোট সারিয়ে দ্রুত মাঠে ফিরে আসুন ঈশান।
অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ চলছে নিউজিল্যান্ডে। সেখানে ভারতীয় দলের সদস্য হিসেবে গিয়েছেন চন্দননগরের ছেলে ঈশান পোড়েল। শনিবার গ্রুপ লিগের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হেলায় হারিয়েছে ভারত। দলের হয়ে শিবম মাভির সঙ্গে বোলিং শুরু করেছিলেন ডান হাতি জোরে বোলার ঈশান।
বিশ্বকাপের প্রথম স্পেলে উইকেট না পেলেও তাঁর কয়েকটি বল সামলাতে রীতিমতো সমস্যায় পড়েন অজি ব্যাটসম্যানরা। তবে, নিজের পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে বাঁ পা বেকায়দায় পড়ে গিয়েই বিপত্তি বাধে। মাঠ থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন তিনি। গোটা ম্যাচে আর মাঠেই নামতে পারেননি।
ঈশানের চোটের খবরে উৎকন্ঠিত হয়ে পড়েন শুভাকাঙ্ক্ষীরা। আজ, মঙ্গলবার পাপুয়া নিউ গিনির বিরুদ্ধে মাঠে দেখা যাবে ঈশানকে? এই প্রশ্নই ঘুরে বেড়াচ্ছে চন্দননগরের ক্রীড়া শিবিরে। সোমবার সন্ধ্যায় বাবা চন্দ্রনাথ পোড়েল বলছিলেন, ‘‘সকালে ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছে। বলল, পায়ের এমআরআই হয়েছে। তবে রিপোর্ট জানাতে পারেনি। আমরা ওই রিপোর্ট জানার জন্যই উৎসুক হয়ে বসে রয়েছি।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘রিপোর্ট না পেলে তো পরিস্কার বোঝা যাবে না! তবে আশা করছি, ও খেলতে পারবে।’’ মা রীতাদেবী ঠাকুরকে ডেকে চলেছেন।
ছেলেবেলার কোচ প্রদীপ মণ্ডল বলেন, ‘‘২০১৬ সালে ওডিশায় রঞ্জি ট্রফি খেলতে গিয়ে পাঁজরে চোট পেয়ে ফিরে আসতে হয়েছিল ঈশানকে। সে জন্য রঞ্জি অভিষেক পিছিয়ে গিয়েছিল ঈশানের। এ বার বিশ্বকাপের মঞ্চেও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তির সম্ভবনা থাকায় খুবই খারাপ লাগছে।’’ চন্দননগর স্পোর্টিং অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারাও কামনা করছেন, শহরের ‘গর্ব’ দ্রুত চোট সারিয়ে মাঠে ফিরুন।
প্রদীপবাবুর অধীনে প্র্যাকটিস করছিলেন বাংলার আর এক উদীয়মান ক্রিকেটার তথা ঈশানের খুড়তুতো ভাই অভিষেক পোড়েল। অভিষেকের কথায়, ‘‘দাদা চোট পাওয়ায় এত খারাপ লাগছিল যে, টিভি বন্ধই করে দিয়েছিলাম। তবে আজ ফোনে কথা হয়েছে। ও নিজে মাঠে নামার ব্যাপারে আশাবাদী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy