Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

কেলোর কীর্তি এ বার শ্রীরামপুর জেলে

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গাঁজা পাচারের ঘটনায় ধৃত কেলো এখন শ্রীরামপুর সংশোধনাগারে রয়েছে। কেলোর ভাই হুলোও জামিন অযোগ্য মামলায় শ্রীরামপুর সংশোধাগারে রয়েছে। ইতিমধ্যেই কেলোর বিরুদ্ধে নানা অভব্যতায় অভিযোগ ওঠায় তাকে কলকাতার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

আক্রান্ত: চিকিৎসাধীন এক আসামী।  নিজস্ব চিত্র

আক্রান্ত: চিকিৎসাধীন এক আসামী। নিজস্ব চিত্র

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়
শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৭ ০১:৫০
Share: Save:

তিন আসামীকে সংশোধনাগারের মধ্যেই মারধর এবং জোর করে মদ খাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতী কেলোর বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে শ্রীরামপুর সংশোধনাগারের ঘটনা।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গাঁজা পাচারের ঘটনায় ধৃত কেলো এখন শ্রীরামপুর সংশোধনাগারে রয়েছে। কেলোর ভাই হুলোও জামিন অযোগ্য মামলায় শ্রীরামপুর সংশোধাগারে রয়েছে। ইতিমধ্যেই কেলোর বিরুদ্ধে নানা অভব্যতায় অভিযোগ ওঠায় তাকে কলকাতার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এই খবর জানতে পেরেই ক্ষেপে ওঠে কেলো। সংশোধনাগারের মধ্যে তিন জন আসামীকে মারধর শুরু করে। কেলোর মারে অসুস্থ ওই তিন আসামীকে প্রথমে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে ভর্তি করনো হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় একজনকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ঘটনার পরে শ্রীরামপুর সংশোধনাগারের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।

জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, শ্রীরামপুর সংশোধনাগারে কেলো যে সেলে রয়েছে সেখানেই শ্রীকান্ত নামে এক আসামী রয়েছে। সে সংশোধনাগারের নানা কাজ করে। উত্তম এবং অভিজিৎ নামে অন্য দুই আসামী শ্রীকান্তকে সাহায্য করে। কেলোর সন্দেহ গিয়ে পড়ে ওই তিন জন আসামীর উপরে। এরপর তাদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

প্রহৃত এক আসামী তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, ‘‘কেলো মারতে মারতে বলেছিল, সুপার তোদের বাঁচাবে? তোদের উলঙ্গ অবস্থায় মদ খাওয়ার ছবি সংবাদমাধ্যমে পাঠিয়ে দেব। এতে সবাই জানবে জেলের মধ্যে মদ খাওয়া হয়।’’ সংশোধনাগারের মধ্যে ঘনিষ্ঠ মহলেও কেলো দাবি করেছে, ওই তিন আসামী জেল সুপারের কাছে তার বিরুদ্ধে খবর সরবরাহ করে। তাই সে তাদের ‘শিক্ষা দিয়েছে।

হুগলি জেলায় সংশোধনাগারের মধ্যে মারপিট ও গোলমালের ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। অভিযোগ, চুঁচুড়া-সহ এই জেলার বিভিন্ন সংশোধনাগারের ভিতরে আসামীদের একাংশ নেশা করে। অনেকে জেলের মধ্যে বসেই মোবাইলে নির্দেশ দিয়ে তোলাবাজিও করে। মাস খানেক আগে চুঁচুড়া সংশোধনাগারের নিরাপত্তারক্ষীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছিল কয়েকজন আসামীর বিরুদ্ধে। তখন নিরাপত্তারক্ষীরা আতঙ্কে পালিয়ে গেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। পরিস্থিতি সামলাতে ছুটে আসতে হয়েছিল জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে।

সোমবার রাতের ঘটনার পরে হুগলি জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘ঘটনার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। কেলোকে অন্যত্র বদলির নির্দেশ দ্রুত কার্যকর করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Serampore Jail Crime শ্রীরামপুর
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE