পরিদর্শন: হোমে শশী পাঁজা। নিজস্ব চিত্র
খাদ্যে বিষক্রিয়ার জেরে সম্প্রতি উত্তরপাড়ার ভবঘুরেদের সরকারি হোমে ছ’জনের মৃত্যু হয়েছিল। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় অন্তত ১৫ জন আবাসিককে ভর্তি করানো হয়েছিল উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। মঙ্গলবার হোমটির হাল-হকিকত খতিয়ে দেখতে এসে পরিচ্ছন্নতায় জোর দেওয়ার নির্দেশ দিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী শশী পাঁজা।
বছর কয়েক আগে হুগলির ধনেখালির একটি বেসরকারি হোমে এক আবাসিকের উপর অত্যাচারের পর তাঁকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে হইচই হয়। এ বার উত্তরপাড়া হোমে মৃত্যুর ঘটনায় সেখানকার আবাসিকদের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
মন্ত্রীর পরিদর্শনের কিছুদিন আগেই জেলাশাসক সঞ্জয় বনশল উত্তরপাড়া হোমের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান। তিনি আবাসিকদের রান্নাঘর দেখে উষ্মা প্রকাশ করেন। তারপরই সেটি বদলের নির্দেশ দেন। মন্ত্রীও মঙ্গলবার হোমের পরিচ্ছন্নতার উপর জোর দেন। পরিদর্শনের সময় উত্তরপাড়ার পুরপ্রধান দিলীপ যাদবকে ডেকে নেন সেখানে। হোম চত্বর পরিষ্কার রাখার ব্যাপারে তিনি পুরপ্রধানকে নির্দেশ দেন বলে সূত্রের খবর। হোমের আবাসিকদের সঠিক দেখভালে হোম কর্তৃপক্ষকেও কিছু প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন তিনি।
যেহেতু খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আবাসিকদের মৃত্যু হয়েছিল, তাই জলের উৎস নিয়েও নিশ্চিত হওয়ার উপর জোর দেন মন্ত্রী। অবশ্য এর আগেই পুরসভার পক্ষ থেকে আসাবিকদের জল সরবরাহের জন্য একটি নতুন সংযোগ করে দেওয়া হয়। এ দিন হোমের সব আবাসিকের সঙ্গে মন্ত্রী দেখা করেন।
ধনেখালি-কাণ্ড সামনে আসার পরেই রাজ্যের হোমগুলির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়। তার জেরে বেশ কয়েকটি হোমের পরিকাঠামোগত কিছু উন্নতি হয় সেই সময়। কিন্তু এরপর সময় গড়াতে সেই কাজে ঢিমেলি আসায় ফের হোমে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল বলে ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত। উত্তরপাড়ার হোমে মৃত্যুর পরই সেখানকার আবাসিকদের খাদ্যের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। শুধু তাই নয়, হোমের আবাসিকদের জন্য যে পরিবেশে খাবার রান্না করা হতো, প্রশ্ন ওঠে তা নিয়েও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy