প্রকল্প: শর্টকাট চ্যানেল সম্প্রসারণে উদ্বোধন। নিজস্ব চিত্র
প্রায় প্রতি বন্যাতেই বৃষ্টি ও ডিভিসির ছাড়া জলে ভেসে যায় দামোদর। প্লাবিত হয় হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর ও আমতার বিস্তীর্ণ এলাকা। সেই সমস্যার পাকাপাকি সমাধানের জন্য দামোদর সংযোগকারী শর্টকার্ট চ্যানেল সম্প্রসারণ-সহ কয়েকটি প্রকল্পের সূচনা হল জয়পুরের সেহাগড়িতে। মঙ্গলবারের ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন সামনেই। তাই পুরনো প্রকল্পকে ঢাকঢোল পিটিয়ে উদ্বোধন করা হল।
সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শর্টকার্ট চ্যানেল নামের খালটি আমতা ২ ব্লকের থলিয়ার দামোদর থেকে শুরু হয়ে প্রায় ১৩ কিলোমিটার উজিয়ে বাগনানে এসে রূপনারায়ণ নদে পড়েছে। ২০০০ সালের শুরুতে সেচ দফতর এই খালটি কেটেছিল। উদ্দেশ্য ছিল, ডিভিসির ছাড়া বাড়তি জল রূপনারায়ণে এনে ফেলা। বর্তমানে খালটির বহন ক্ষমতা ৩০ হাজার কিউসেক। গত বছর সেচ দফতর ওই খালের জলবহন ক্ষমতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এতে খালের গভীরতা যেমন বাড়ানো হবে, তেমনই বাড়বে বাঁধের উচ্চতা। নতুন প্রকল্পে ওই খালের জলবহন ক্ষমতা অন্তত ৫০ হাজার কিউসেক হওয়ার কথা।
সেচমন্ত্রীর আশা, এই প্রকল্প চালু হলে আমতা ২ এবং উদয়নারায়ণপুরে বন্যার প্রকোপ অনেকটা কমবে। এ দিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বন্যা নিয়ন্ত্রণে টাকা না দেওয়ার অভিযোগ করেন রাজীববাবু। তিনি বলেন, ‘‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান এবং নিম্ন দামোদরের নিকাশি পরিকল্পনায় টাকা কেন্দ্র দেয়নি। রাজ্য সরকার নিজে টাকা দিচ্ছে। বিশ্বব্যাঙ্কেরও সহায়তা নেওয়া হচ্ছে।’’ তিনি জানান, বিশ্বব্যাঙ্কের ২৭০০ কোটি টাকার ঋণে শীঘ্রই নিম্ন দামোদর নিকাশি প্রকল্পের সূচনা হবে।
এ দিন শর্টকার্ট চ্যানেল সম্প্রসারণ ছাড়াও আমতা ২ ব্লকে বিনোলার কাছে দামোদরের ডান দিকে ভাঙন প্রতিরোধ, বাগনান ১ ব্লকের মানকুরে ভাঙন প্রতিরোধ, পাঁচলার রাজাপুর ক্যানেলের দু’পাড় সংস্কার, কানা দামোদরের বাঁ দিকে পাকা কংক্রিটের রাস্তা ও স্লুইস গেট নির্মাণ, উদয়নারায়ণপুরের কুলটিকরি এবং ডিহিভুরসুটে দামোদরের ভাঙন প্রতিরোধ-সহ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন তিনি।
এ দিন সরকারি অনুষ্ঠানে স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ককে না ডাকা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। অভিযোগ, এ দিন যে জায়গায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি হয় সেটি আমতা বিধানসভাকেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। কিন্তু আমতার কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্রকে অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ করা হয়নি। অনুষ্ঠানের কার্ডে তাঁর নামও ছাপা হয়নি। যদিও সেচ দফতরের প্রকল্পগুলি যেসব বিধানসভা এলাকা ছুঁয়ে গিয়েছে সেখানকার তৃণমূল বিধায়কদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। যদিও সেচমন্ত্রী দাবি করেছেন, ‘‘সব বিধায়ককেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। অসিতবাবু কেন আসেননি বলত পারব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy