প্রতীকী ছবি।
গুড়াপে তখন চলছে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা। তারকেশ্বরের পুরপ্রধান স্বপন সামন্তকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিজ্ঞাসা করলেন, কোথাও কোনও ঝগড়াঝাঁটি নেই তো! স্বপনবাবু জানালেন, আর কোথাও কোনও সমস্যা নেই।
মঙ্গলবার দুপুরে যখন তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে এই বাক্য বিনিময় চলছে, ঠিক তখনই খানাকুলের রাধাবল্লভপুর ও সংলগ্ন গ্রামগুলিতে চলছে সংঘর্ষ— তৃণমূলের মূল সংগঠন এবং যুব সংগঠনের মধ্যে। পরস্পরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আক্রমণ করল দু’পক্ষই। অভিযোগ, দু’পক্ষের প্রায় ১২ জন জখম হয়েছেন। প্রহৃতদের মধ্যে রয়েছেন খানাকুল-১ ব্লকের তৃণমূল যুব-র কার্যকরী সভাপতি দীনেশ রানা এবং তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি প্রদীপ রানা। তাঁরা দু’জনেই সংঘর্ষ থামাতে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, দু’পক্ষকেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে বলা হয়েছে। জেলা নেতৃত্ব অবশ্য গোষ্ঠী সংঘর্ষের কথা অস্বীকার করেছেন। তাঁদের দাবি, পারিবারিক বিবাদ থেকেই ওই সংঘর্ষ হয়েছে বলে খবর রয়েছে তাঁদের কাছে। তবে দলেরই একাংশের নেতা স্বীকার করে নিচ্ছেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে দুই সংগঠন প্রায়ই সংঘর্ষে জড়াচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই সংগঠন একে অপরের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্প-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের উপভোক্তাদের কাছে অন্যায়ভাবে টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলছে প্রায় দু’মাস ধরে। অশান্তিও চলছে সেই থেকে। সে বিষয় নিয়েই এ দিন বিকালে রাধাবল্লভপুরে ব্লক যুব কার্যকরী সভাপতি দীনেশ রানাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে মূল সংগঠনের নেতা প্রদীপ রানার বিরুদ্ধে। এরপরেই দু’পক্ষের লোক জমায়েত হয়ে সংঘর্ষে জড়ায় বলে অভিযোগ। অথচ ওই দুই নেতাই দাবি করেছেন, বিনা প্ররোচনায় তাঁকে মারধর করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy