দূষিত: (বাঁ দিকে) হাসপাতালে মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) ভাস্কর ভট্টাচার্য। (ডান দিকে) এ ভাবেই পানীয় জলের পাইপের পাশ দিয়ে গিয়েছে নর্দমা। —নিজস্ব চিত্র।
পাঁক উপচে ওঠা নর্দমার পাশ দিয়েই গিয়েছে পানীয় জলের মান্ধাতা আমলের পাইপলাইন। দুর্গন্ধ ভরা নর্দমার পাশে ডাঁই হয়ে রয়েছে আবর্জনার স্তূপ। এটাই হাওড়া পুরসভার লিলুয়া ভট্টনগর এলাকার মঠপাড়ার চিত্র।
পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারদের দাবি, নর্দমার পাশ দিয়ে যাওয়া পানীয় জলের পাইপ ফেটে তাতে নর্দমার জল মিশে যাওয়ার জন্যই শতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার ওই পাইপলাইনের ফাটা অংশ চিহ্নিত করে সেটির মুখ ‘সিল’ করে দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তে বাসিন্দাদের নতুন পাইপলাইনের জল খেতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল থেকে লিলুয়া, ভট্টনগর, চকপাড়া, মীরপাড়া-সহ বেশ কিছু এলাকার প্রায় কয়েকশো বাসিন্দা পেটের সমস্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই দিনই সত্যবালা আইডি হাসপাতালে রোগীর লাইন পড়ে যায়। আইডি হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার নতুন করে ছ’জন রোগী পেটের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে মঙ্গলবার থেকে ভর্তি থাকা ১৫ জনকে এ দিন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে এ দিনই মেয়র পরিষদ (স্বাস্থ্য) ভাস্কর ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে পুরসভার মেডিক্যাল অফিসার ও ইঞ্জিনিয়ারেরা গিয়ে ওই সব এলাকা ঘুরে দেখেন। বাড়ি বাড়ি হ্যালোজেন ট্যাবলেট, ওআরএস দেওয়া হয়। আজ, শনিবার ওই এলাকায় একটি স্বাস্থ্য শিবির করা হবে বলে জানিয়েছেন ভাস্করবাবু।
তিনি আরও বলেন, ‘‘ওই এলাকায় মাটির নীচ দিয়ে যে পাইপলাইন গিয়েছে, সেটি বহু পুরনো। অধিকাংশ পাইপলাইনই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ওই পাইপের একাংশ ফেটে তার সঙ্গে নর্দমার জল মিশেই এই দূষণ হয়েছে বলে আমাদের ধারণা। ওই পাইপলাইন সিল করে দেওয়া হয়েছে।’’
এ দিন লিলুয়ার ভট্টনগর, চকপাড়া এলাকা ঘোরার পরে ভাস্করবাবুর নেতৃত্বে পুরসভার দলটি সত্যবালা আইডি হাসপাতালে যায় রোগীদের দেখতে। সেখানে দাঁড়িয়ে মেয়র পারিষদ বলেন, ‘‘আগের থেকে রোগের প্রকোপ খানিকটা কমেছে বলে মনে হচ্ছে। পেটের রোগ নিয়ে যাঁরা হাসপাতালে আসছেন, তাঁরা দ্রুত সেরে উঠছেন। গত কয়েক দিনের তুলনায় অনেক কম রোগী এ দিন ভর্তি হয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy