ঘাটালে প্রতিনিধিরা। নিজস্ব চিত্র
আহত বিজেপি কর্মীকে দেখতে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে গেলেন বিজেপি’র রাজ্য প্রতিনিধি দল। শুক্রবার বিজেপি’র রাজ্য সহ সভাপতি (সাংগঠনিক) তাপস চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পাঁচ জনের একটি প্রতিনিধি দল ঘাটালে যায়। এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ প্রথমে ওই প্রতিনিধি দলটি ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে আহত বিজেপি কর্মী স্বরূপ সামুইকে দেখতে যান। তারপর তাঁরা ঘাটাল থানার বীরসিংহ গ্রামে স্বরূপবাবুর বাড়িতেও যান। বিজেপির প্রতিনিধি দল ঘাটাল থানার ওসি সুদীপ্ত ঘোষালের সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও দলীয় কর্মীর বাড়ির সামনে পুলিশ পিকেট বসানোর আর্জি জানান। দলীয় কর্মীকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে ঘাটাল থানায় বিজেপি কর্মীরা জড়ো হয়। এ দিন সাংবদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তাপসবাবু বলেন, “শাসক দলের লোকেরা ঘাটাল, দাসপুর-সহ সব জায়গায় দলের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে। আমরা ওসির কাছে এলাকায় শান্তি বজায় রাখা ও দলের কর্মীদের উপর অত্যাচার বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিও জানানো হয়েছে। ওসি কথা দিয়েছেন।” তাঁর হুঁশিয়ারি, “আমরা কয়েকদিন দেখব। তারপরে অন্য ব্যবস্থা নেব।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’পক্ষই পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গত বুধবার রাতে ঘাটাল থানার বীরসিংহ গ্রামে স্থানীয় একটি ক্লাবের সঙ্গে পুরনো বিবাদের জেরে স্বরূপ সামুইয়ের বচসা হয়। ওই ঘটনায় স্বরূপবাবু সহ দু’পক্ষের মোট দু’জন জখম হন। স্বরূপবাবুকে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্বরূপবাবুর অভিযোগ, “ক্লাবের কিছু লোক আমাকে মেরে ফেলার ছক কষেছিল। তাঁরা সবাই ক্লাবের সদস্য হলেও তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মী। মারধরে আমার বুকে চোট লাগে। এখনও বুকের যন্ত্রণা হচ্ছে।” যদিও তৃণমূলের ঘাটাল ব্লকের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ মাঝি বলেন, “ওই ঘটনায় দলের কেউ যুক্ত নয়। ঘটনাটি দল জানেও না।”
বিজেপি’র অভিযোগ, ঘাটাল মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর মারধরের ঘটনা বাড়ছে। এ বিষয়ে দলের রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়। খবর পেয়ে রাজ্য থেকে দলের রাজ্য সহ সভাপতি সুব্রত চট্টোপাধ্যায় (সাংগাঠনিক)-সহ পাঁচ জনের একটি প্রতিনিধি দল এ দিন ঘাটালে আসেন। ওই দলে ছিলেন বিজেপির জেলার সহ সভাপতি বিকাশ দে, শুভজিৎ রায়, বাবলু বরণ, হাসি হালদার, রামকুমার দে-সহ দলীয় নেতৃত্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy