Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

উদ্বোধনের এক বছর পরও হস্টেলে তালা

উদ্বোধনের পর বছর ঘুরতে চলল। এখনও চালু হয়নি ঘাটালের রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের হস্টেল। আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধনের পরেই কলেজ কর্তৃপক্ষ দ্রুত হস্টেল চালু হওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তা সত্ত্বেও এখনও হস্টেল চালু না হওয়ায় ক্ষুব্ধ অভিভাবক থেকে ছাত্রীরা।

পড়েই রয়েছে ছাত্রীনিবাস।—নিজস্ব চিত্র।

পড়েই রয়েছে ছাত্রীনিবাস।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঘাটাল শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৫ ০১:০৭
Share: Save:

উদ্বোধনের পর বছর ঘুরতে চলল। এখনও চালু হয়নি ঘাটালের রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের হস্টেল। আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধনের পরেই কলেজ কর্তৃপক্ষ দ্রুত হস্টেল চালু হওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তা সত্ত্বেও এখনও হস্টেল চালু না হওয়ায় ক্ষুব্ধ অভিভাবক থেকে ছাত্রীরা। এ বিষয়ে কলেজের টিচার ইন চার্জ লক্ষ্মীকান্ত রায় বলেন, “কর্মীর অভাবের জন্য এতদিন হস্টেল চালু করা যায়নি। চলতি মাস থেকেই হস্টেলে থাকার জন্য আবেদনপত্র বিলি শুরু হবে।”

কলেজ সূত্রে খবর, ঘাটাল কলেজে ঘাটাল শহর ছাড়াও মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তের বহু পড়ুয়া পড়তে আসেন। কলেজে বর্তমানে বাংলা ,ইংরেজি, ভূগোল ও অঙ্ক- এই চারটি বিষয়ে স্নাতকোত্তর পাঠক্রমও চালু হয়েছে। ফলে আগের থেকে কলেজে পড়ুয়ার সংখ্যা অনেক বেড়েছে। কলেজে হস্টেল না থাকায় তাঁরা বাধ্য হয়ে শহরের বিভিন্ন মেসে বেশি টাকা দিয়ে থাকতে বাধ্য হন। বিগত এক দশক ধরে কলেজের পড়ুয়াদের দাবি ছিল, কলেজে হস্টেল তৈরি হোক। বছর ছ’য়েক আগে কলেজের নিজস্ব জমিতেই হস্টেল তৈরির কাজ শুরু হয়। ২০১৪ সালের প্রথমদিকে হস্টেল তৈরির কাজ শেষও হয়ে যায়। গত বছর ১৪ অগস্ট নিবেদিতা ছাত্রীনিবাস নামে ওই হস্টেলটি উদ্বোধন হয়। তারপর থেকেই হস্টেলে ঝুলছে তালা।

হস্টেল চালু না হওয়ায় দূর-দূরান্ত থেকে কলেজে আসা পড়ুয়ারা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছেন। ঘাটাল শহরে বেশ কয়েকটি মহিলা হস্টেলও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে শহরে চড়া বাড়ি ভাড়া দিয়ে পড়ুয়ারা থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। ঘাটাল শহরে বর্তমানে যে কয়েকটি বেসরকারি হস্টেল চালু রয়েছে, সেগুলিতে থাকতে গেলে ছ’মাসের অগ্রিম টাকা জমা দিয়ে ঢুকতে হচ্ছে। সামর্থ্য না থাকায় অনেক পড়ুয়াই এত টাকা খরচ করে হস্টেলে থাকতে গিয়ে চরম সমস্যার শিকার শিকার হচ্ছেন।

কলেজ সূত্রে খবর, কলেজ হস্টেলে মোট ১৫০ জন পড়ুয়ার থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। হস্টেলে ৮০ জন কলেজ ছাত্রী থাকতে পারবেন। কলেজের স্নাতকোত্তর স্তরের পড়ুয়াদের জন্য কলেজের ৮০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রয়েছে। বাকি আসনে কলেজের বাকি পড়ুয়ারা থাকার সুযোগ পাবেন। চলতি মাস থেকেই হস্টেলে থাকার জন্য ফর্ম দেওয়া শুরু হবে। পুজোর পরই হস্টেল চালু হয়ে যাবে বলে কলেজ সূত্রে দাবি। লক্ষ্মীকান্ত রায় বলেন, “কলেজের যে সকল পড়ুয়ার বাড়ি দূরে তাঁদের আগে হস্টেলে থাকার সুবিধা দেওয়া হবে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই হস্টেল চালু হয়ে যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE