তখনও হাতাহাতি চলছে।—নিজস্ব চিত্র।
ছাত্র সংসদের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-এর দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধল পাঁশকুড়া বনমালী কলেজে। বুধবার বিকেলে কলেজ চত্বরে এই সংঘর্ষে দুই গোষ্ঠীর মোট ৭ জন ছাত্র আহত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে দু’জনের মাথা ফেটেছে। আহতদের পাঁশকুড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। শেষে পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়।
দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ রয়েছে পাঁশকুড়ার দুই তৃণমূল নেতা জাইদুল খান ও আনিসুর রহমান গোষ্ঠীর। টিএমসিপি-র এ দিনের গোষ্ঠী সংঘর্ষও সেই বিরোধেরই পরিণাম। তৃণমূল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁশকুড়া বনমালী কলেজের বিদায়ী ছাত্র সংসদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে জাইদুল অনুগামীদের হাতে। চলতি বছরে কলেজে প্রথম বর্ষে ভর্তির সময় ছাত্র সংসদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জাইদুল অনুগামীদের সঙ্গে যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি আনিসুর রহমানের অনুগামীদের সংঘর্ষ বেধেছিল। সেই সময় কলেজে বহিরাগত ঢোকা বন্ধ করতে পরিচয়পত্র দেখে কলেজ ক্যাম্পাসে ঢোকা বাধ্যতামূলক করা হয়। তারপরও ছাত্র সংসদের রাশ থাকে জাইদুল অনুগামীদের হাতেই।
কিছু দিনের মধ্যেই জেলার বিভিন্ন কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবে। তার আগে পাঁশকুড়ার এই কলেজে টিএমসিপি-র দুই গোষ্ঠী লড়াইয়ে নেমেছে বলে জেলার রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অভিমত। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজেদের ক্ষমতা জাহির করতে গত কয়েকদিন ধরেই আনিসুর অনুগামী টিএমসিপি সমর্থকরা কলেজ চত্বরে মিছিল করছিল। উত্তেজনা থাকায় সোমবার কলেজের প্রবেশপথে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বুধবার বিকেল চারটে নাগাদ কলেজের প্রশাসনিক অফিসের সামনে জাইদুল গোষ্ঠীর ছাত্ররা বসেছিলেন। অনিসুর অনুগামীরা সেখানে গেলে প্রথমে দু’পক্ষের বচসা বাধে। তারপর শুরু হয় সংঘর্ষ। লাঠি, হকিস্টিক, ব্যাট, উইকেট নিয়ে মারামারি চলে। কলেজের সামনে মোতায়েন থাকা পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে এলেও সংঘর্ষ থামেনি। বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টার পরে পুলিশ দু’পক্ষের ছেলেদের হঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জাইদুলের অভিযোগ, “আনিসুরের লোকজন জোর করে ছাত্র সংসদের দখল নিতে চাইছে। এ দিন কলেজে ঢুকে আমাদের ছেলেদের উপর আক্রমণ চালিয়েছে। এতে আমাদের ৬ জন আহত হয়েছে।” আনিসুরের বক্তব্য, “এ দিন কলেজের ভিতর আমাদের ছাত্র সংগঠনের নিজেদের মধ্যে গোলমাল হয়েছে বলে জেনেছি। ওই গোলমালের সময় জাইদুল কলেজের ভিতরে গিয়েছিলেন বলে খবর পেয়েছি। ছাত্রদের মধ্যে গোলমালে উনি কেন গিয়েছিলেন বুঝছি না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy