প্রতিষ্ঠিত প্রতিমা।—নিজস্ব চিত্র।
পুজোর বয়স সাড়ে পাঁচশো ছুঁয়েছে। কিন্তু চন্দ্রকোনা থানার শ্রীনঘর সংলগ্ন লক্ষ্মীপুর গ্রামের চৌধুরী বাড়িতে কালী পুজোর সাবেকিয়ানা আজও অটুট।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৪৬০ সালে মামার বাড়ইর সম্পত্তি পেয়ে লক্ষ্মীপুরে আসেন স্থানীয় শশাগেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা কল্যাণ চৌধুরী। জনশ্রুতি রয়েছে, মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে কালীপুজো শুরু করেন। স্বপ্লাদেশ থেকেই কল্যাণবাবু স্থানীয় লীলাপুকুরে একটি ভগ্নপ্রায় ঘট পান। পরে কাশী থেকে কষ্টি পাথরের কালী মূর্তি এনে বাড়ি সংলগ্ন একটি ফাঁকা জমিতে মায়ের আটচালা তৈরি করে পুজোর পত্তন করেন। সেই থেকেই একটানা এই পুজো চলে আসছে। চৌধুরী বংশের সদস্য বাপ্পাদিত্য চৌধুরী, শঙ্করপ্রসাদ চৌধুরী, মলয় চৌধুধীরা বলেন, “কালীপুজোর সময় আমদের গ্রাম-সহ পাশাপাশি গ্রামের মানুষও আমাদের পুজো দেখতে আসেন। পুজোয় পাঁঠা বলিও হয়। পুজো উপলক্ষে আত্মীয়-স্বজনেরা সকলে বাড়িতে আসেন। এই দিনটার জন্য সারা বছর অপেক্ষা করি।”
চৌধুরী বাড়িতে মায়ের নিত্যপুজো হয়। আর্থিক সঙ্গতি কমলেও পুজোর জৌলুসে কোনও খামতি নেই। সম্প্রতি চৌধুরী বংশের সদস্য বাপ্পাদিত্য চৌধুরী ও বাড়ির অন্য সদস্যরা মিলে একটি মন্দির তৈরি করেছেন। এ বছর থেকে সেই মন্দিরেই পুজো শুরু হয়েছে। বংশের সদস্য কালীকিঙ্কর চৌধুরী ও চিত্তরঞ্জন চৌধুরীর কথায়, “আগের মন্দিরটি ভগ্নপ্রায় হয়ে গিয়েছিল। তাই নতুন করে ২ হাজার পাঁচশো বর্গফুট জুড়ে একটি বড় মন্দির তৈরি হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy