কৃষি মেলায় চাষের যন্ত্রাংশ দেখছেন চাষিরা।
সার দিয়ে সাজানো রয়েছে অত্যাধুনিক রেপারের সঙ্গে বাঁধাই মেশিন, ধান রোয়ার মেশিন-সহ একাধিক কৃষিজ যন্ত্রপাতি। হুমড়ি খেয়ে তা দেখছে স্কুল পড়ুয়া থেকে কৃষিজীবীরা। প্রতিটি মেশিনের ব্যবহারিক পদ্ধতি তাঁদের বুঝিয়ে দিচ্ছেন আইআইটি-র অধ্যাপক থেকে পড়ুয়ারা।
তিন দিন ধরে এ ভাবেই খড়্গপুর আইআইটি-র ‘এগ্রি এক্সপো’ নামে কৃষি মেলায় সকাল-সন্ধ্যা ভিড় জমল। শুধু মেলা নয়, মেলার সঙ্গেই আলোচনা সভা ও প্রশিক্ষণে যোগ দিতে দেখা গেল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের চাষে আগ্রহী মানুষকে। রবিবার ছিল মেলার শেষ দিন। ‘এগ্রি এক্সপো’-র উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ বিভাগের দাবি, অভিজ্ঞতার লেন-দেন ঘটানোই এই মেলার উদ্দেশ্য। এক্সপো-র মুখ্য উপদেষ্টা বিমলচন্দ্র মাল বলেন, “প্রথমে ভেবেছিলাম ৯টি বিষয়ে ৯০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কিন্তু চাহিদা থাকায় সংখ্যা ১২৫ জন পর্যন্ত বাড়াতে হয়েছে। প্রশিক্ষণের পাঠ কৃষিজীবীরা কাজে লাগালেই উদ্দেশ্য সার্থক।”
কৃষি যন্ত্রপাতির রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবহার, জৈব প্রযুক্তি, মাটির গুণমান পরীক্ষা, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের মতো ৯টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সুদূর কালিম্পং থেকে এসেছিলেন ভানু থাপা। তিনি বলেন, “আমাদের এলাকায় আদা, বড় এলাচ, কমলার চাষ হয়।
সেমিনার।
কিন্তু আগের তুলনায় কমলার চাষ ৬০ শতাংশ কমেছে। ফলন বাড়াতে ২০০১ থেকে জৈব ও কেঁচো সার নিয়ে কাজ করছি। বিষয়টি নিয়ে আরও জানতে চাই। কিন্তু রাজ্য কৃষি বিভাগের মাধ্যমে এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ পাই না। তাই আইআইটিতে চলে এসেছি। প্রশিক্ষণ শেষে মনে হচ্ছে এখানে আসার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল না।”
এক্সপোতে ‘বর্তমান প্রজন্মকে কৃষি নির্ভর করার প্রয়াস’ শীর্ষক আলোচনাও হয়। সেখানে চাষের নানা সমস্যার কথা উঠে। সনাতন পদ্ধতির চাষেও কী ভাবে আধুনিক করে চাষের গুণগত মান বাড়ানো যায়, তা নিয়েও মতামত দেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। সাধারণ মানুষকে কৃষি ও উদ্যান পালনের প্রতি আকৃষ্ট করতে প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও ছিল। এ বারের মেলায় ৩৫টি স্টলে অত্যাধুনিক কৃষিজ যন্ত্রপাতি প্রদর্শিত হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন জৈব সার নিয়ে গবেষণা করা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
—নিজস্ব চিত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy