Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ঝুমির ভাঙনে এ বার ভাঙছে স্কুল

অনেক দিন ধরেই চলছে ঝুমি নদীর ভাঙন। প্রায় দু’দশক ধরে শতাধিক ঘর-বাড়ি থেকে চাষযোগ্য জমি তলিয়ে গিয়েছে নদীগর্ভে। এ বার স্কুল চলাকালীন তলিয়ে গেল একটি প্রাথমিক স্কুলের শৌচাগারও। মঙ্গলবার বেলা ১২টা নাগাদ ঘাটাল শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সিংহপুর তিওরপাড়া তফসিলি প্রাথমিক স্কুলের একাংশ নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়ায়। বন্ধ হয় পঠনপাঠন। ঘটনাস্থলে যান ঘাটালের বিধায়ক তথা পরিষদীয় সচিব (সেচ) শঙ্কর দোলই।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এলাকার বিধায়ক। নিজস্ব চিত্র।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এলাকার বিধায়ক। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঘাটাল শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:০২
Share: Save:

অনেক দিন ধরেই চলছে ঝুমি নদীর ভাঙন। প্রায় দু’দশক ধরে শতাধিক ঘর-বাড়ি থেকে চাষযোগ্য জমি তলিয়ে গিয়েছে নদীগর্ভে। এ বার স্কুল চলাকালীন তলিয়ে গেল একটি প্রাথমিক স্কুলের শৌচাগারও। মঙ্গলবার বেলা ১২টা নাগাদ ঘাটাল শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সিংহপুর তিওরপাড়া তফসিলি প্রাথমিক স্কুলের একাংশ নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়ায়। বন্ধ হয় পঠনপাঠন। ঘটনাস্থলে যান ঘাটালের বিধায়ক তথা পরিষদীয় সচিব (সেচ) শঙ্কর দোলই।

প্রায় প্রতি বছরই বর্ষায় ঝুমি নদীতে ভাঙন হয়। গত বছরও এই সময় নদীর পাড় ভেঙে প্রায় আট-দশটি বাড়ি তলিয়ে গিয়েছিল। সেই সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক শঙ্কর দোলই-সহ দফতরের বাস্তুকারেরা। এখন ঝুমি নদীর একটি জায়গায় নদীর পাড় বাঁধার কাজ চলছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বছর বছর ধরে নদীর পাড় ভেঙে বাড়ি-জমি সব নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনকে বারবার জানানো সত্ত্বেও স্থানীয় সমাধান হয়নি। মাঝে মধ্যে কোথাও কোথাও নদীর পাড় বাঁধা হয়। কিন্তু স্থায়ী সমাধান না হলে কিছু দিন পর স্থানীয় চাউলি, সিংহপুর-সহ পাশাপাশি গ্রামগুলির আর অস্ত্বিতই থাকবে না।

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, সিংহপুর তিওরপাড়া তফসিলি প্রাথমিক স্কুলটি এলাকার খুদেদের একমাত্র ভরসা। স্কুলের পড়ুয়া সংখ্যা ৮২। এ দিন স্কুল চলাকালীন আচমকাই স্কুলের শৌচাগারটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। প্রধান শিক্ষক অতনু খামরুই বলেন, “তখন ক্লাস চলছিল। বিকট শব্দ শুনে বাইরে এসে দেখি স্কুলের শৌচালয় ভেঙে পড়ল নদীতে।” আতঙ্কিত পড়ুয়া স্কুল থেকে বেরিয়ে পড়ে। বিষয়টি জানাজানি হতে অভিভাবকেরাও চলে আসেন। বিধায়ক শঙ্কর দোলই বলেন, “ঘটনাস্থল থেকেই সেচ মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। চলতি সপ্তাহেই কলকাতা থেকেই ইঞ্জিনিয়ার পাঠিয়ে ডিপিআর তৈরি করে দেওয়া হবে। তারপরই কাজ শুরু হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

jhumi river erosion ghatal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE