বড়দাবাড়ে কংগ্রেসের কর্মিসভায় অধীর চৌধুরীকে সংবর্ধনা। পার্থপ্রতিম দাসের তোলা ছবি।
সারদা-কাণ্ডে দলের একাধিক নেতাকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলকে ‘চোরের দল’ বলে আক্রমণ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের বরদাবাড়ে জেলা কংগ্রেসের কর্মিসভায় এসেছিলেন তিনি। অধীরবাবু বলেন, “তৃণমূল বাংলায় বেশিদিন থাকবে না। ডাঁয়ে চোর, বাঁয়ে চোর, সামনে চোর, পিছনে চোর। তৃণমূল আজ চোরের দল।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বিঁধতে ছাড়েননি তিনি। এই কংগ্রেস নেতা বলেন, “দিদি সৎ থাকার চেষ্টা করলে তো হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সতীত্ব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সততা আজ ক্রমশ প্রকাশ হচ্ছে।” সাদা শাড়ি পরলেই সৎ হওয়া যায় না বলেও তৃণমূল নেত্রীকে কটাক্ষ করেন অধীরবাবু।
মুকুল রায়ের ডানা ছাঁটা প্রসঙ্গ তুলেও তৃণমূলকে বিঁধতে ছাড়েননি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর কথায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যাইয়ের কাছে খবর আছে যে মুকুল রায়ের স্থান হবে জেলে, তাই তাঁকে তিনি সরিয়ে ফেলছেন। মুকুল রায় এখন তৃণমূলের বোঝা। তাই অভিষেককে দরকার।” এ দিন সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে বর্ধমান বিস্ফোরণকাণ্ডে পুলিশের ভূমিকারও সমালোচনা করেছেন অধীরবাবু। তিনি বলেন, “রাজ্য পুলিশ এখন তৃণমূলের প্রক্সি পুলিশ। যখন এনআইএ আসে, তাদের বিপথে পরিচালিত করে।”
তৃণমূলের শক্তঘাঁটি পূর্ব মেদিনীপুরে এসে অধীরবাবু এ দিন বিভিন্ন ব্লকের কংগ্রেস কর্মীদের কাছ থেকে তাঁদের সমস্যার কথা জেনে নেন। কংগ্রেসের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে জেলার প্রতিটি এলাকায় সভা করার জন্য পরামর্শও দেন। মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির প্রসঙ্গ তুলে অধীরবাবু বলেন, “কংগ্রেসের এখন সময় খারাপ যাচ্ছে। ওখানে আমাদের দল ক্ষমতায় ছিল। আমাদের কিছু ভুল ত্রুটির জন্য পরাজয় হয়েছে।” একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “আন্দোলন করেই সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে।” এ দিন জেলা কংগ্রেসের কর্মিসভায় অধীরবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের নেতা দীপঙ্কর সাহু, ঊর্বশী ভট্টাচার্য, প্রাক্তন বিধায়ক শৈলজা দাস, জেলা কংগ্রেস সভাপতি আনোয়ার আলি প্রমুখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy