ফের দলবদল করলেন হেমা চৌবে। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার দু’মাসের মধ্যেই আবার কংগ্রেসে ফিরে এলেন প্রয়াত সিপিআই সাংসদ নারায়ণ চৌবের বৌমা হেমা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খড়্গপুরের শহর কংগ্রেস কার্যালয়ে এক বৈঠকে এসেছিলেন দলের জেলা সভাপতি বিকাশ ভুঁইয়া। ছিলেন বর্ষীয়ান বিধায়ক জ্ঞানসিংহ সোহন পাল, রাজ্য কমিটির সদস্য রবিশঙ্কর পাণ্ডে, শহর সভাপতি অমল দাস প্রমুখ। ওই বৈঠকের পরেই হেমার দলে ফেরার আবেদন গৃহীত হয়।
নারায়ণবাবু মারা যাওয়ার পরে তাঁর বড় ছেলে গৌতম ২০০১ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। এর পর দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হয়ে যান তিনি। তখন গৌতম-পত্নী হেমাকে তৃণমূলের শহর সভাপতির দায়িত্ব দেন স্বয়ং নেত্রী তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ২০০৬ সালে হেমাকে সরিয়ে চৌবে পরিবার ঘনিষ্ঠ দেবাশিস চৌধুরীকে শহর সভাপতি দায়িত্ব দেওয়া হলে দল ছাড়েন হেমা। ২০০৯ সালে মানস ভঁুইয়ার হাত ধরে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। ২০১১ সালে গড়বেতার বিধানসভা কেন্দ্রে হেমাকে প্রার্থীও করে কংেগ্রেস। ভোটে হারলেও পরবর্তীকালে হেমাকে জেলা মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত ৮ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় গিয়ে মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে ফেরেন হেমা। তাঁকে দেওয়া হয় জেলা কোর কমিটির পদ। কিন্তু দু’মাস ঘুরতে না ঘুরতেই ফের দলবদল। কংগ্রেস সূত্রের খবর, দলে ফিরতে চেয়ে জেলা কংগ্রেস সভাপতির কাছে দিন দুয়েক আগে আবেদন জানান হেমা।
জেলা কংগ্রেস সভাপতি বিকাশবাবু বলেন, “দলের প্রদেশ সভাপতির সিদ্ধান্তক্রমে আমরা হেমার আবেদনগ্রহণ করলাম।” ফের দলবদল কেন? হেমার ব্যাখ্যা, “২০০১ সালের তৃণমূলের মধ্যে আন্তরিকতা ছিল। ২০০৬ সালে কারও সঙ্গে মতবিরোধে দল ছেড়েছিলাম। কিন্তু ২০১৪ সালে মনে হয়েছিল ভাল কাজ করতে ফের তৃণমূলে আসা উচিত। কিন্তু এখন দেখলাম, নেতা বেশি কর্মী কম। আন্তরিকতাও নেই। তাই কংগ্রেসে ফিরে দলের হয়ে কাজ করতে চাই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy