Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

পুজোয় বাজার মাতাচ্ছে আনারকলি

শর্টঝুলের চুড়িদারের দিন গিয়েছে, এ বার পুজোয় হিট লম্বা ঝুলের আনারকলি, পাখি, মধুবালা চুড়িদার। হলদিয়া টাউনশিপ থেকে শুরু করে চিরঞ্জীবপুর, দুর্গাচক, ব্রজলালচক, চৈতন্যপুর-সর্বত্রই লংঝুলের চুড়িদার বিক্রি হচ্ছে। শাড়ির মধ্যে চাহিদা বেশি হ্যান্ডলুম শাড়ির। এ ছাড়াও শিফন হাফ হাফ, থ্রিডি ঢাকাই, ঢাকাই, কাঞ্জিভরম, ধুতিয়ান সিল্কের শাড়িরও চাহিদা রয়েছে।

হলদিয়ার বস্ত্র বিপণিতে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটার ভিড়। ছবি: আরিফ ইকবাল খান।

হলদিয়ার বস্ত্র বিপণিতে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটার ভিড়। ছবি: আরিফ ইকবাল খান।

সামসুদ্দিন বিশ্বাস
হলদিয়া শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৫ ০১:২৯
Share: Save:

শর্টঝুলের চুড়িদারের দিন গিয়েছে, এ বার পুজোয় হিট লম্বা ঝুলের আনারকলি, পাখি, মধুবালা চুড়িদার। হলদিয়া টাউনশিপ থেকে শুরু করে চিরঞ্জীবপুর, দুর্গাচক, ব্রজলালচক, চৈতন্যপুর-সর্বত্রই লংঝুলের চুড়িদার বিক্রি হচ্ছে। শাড়ির মধ্যে চাহিদা বেশি হ্যান্ডলুম শাড়ির। এ ছাড়াও শিফন হাফ হাফ, থ্রিডি ঢাকাই, ঢাকাই, কাঞ্জিভরম, ধুতিয়ান সিল্কের শাড়িরও চাহিদা রয়েছে।
হলদিয়া টাউনশিপের বাসিন্দা গৃহবধু কুহেলি মণ্ডল জানান, আগে শর্টঝুলের চুড়িদারই কিনতাম। এ বার পছন্দসই লংঝুলের চুড়িদারেই বাজার ছেয়ে গিয়েছে। তবে শুধু চুড়িদার নয় পুজোয় শাড়ির চাহিদাও কম নয়। হলদিয়ার ব্রজনাথচকের বাসিন্দা গৃহবধূ অনামিকা ভাদুড়ি জানান, ‘‘বাজারে নানাধরনের হ্যান্ডলুম শাড়িও এসেছে। তিনটি মানানসই রঙের থ্রিডি ঢাকাই শাড়িও বেশ ভাল। সব ধরনের দামের শাড়িই রয়েছে। মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত সকলেই রেস্ত বুঝে শাড়ি বেছে নিতে পারছেন।’’
ব্রজলালচকের বস্ত্র ব্যবসায়ী মঙ্গল গিরি, চিরঞ্জীবপুরের বস্ত্র ব্যবসায়ী মদনমোহন গিরি বলেন, ‘‘গত বছর পুজোয় শর্ট ঝুলের চুড়িদার, ফ্রক অনেক বিক্রি হয়েছে। এ বার কিন্তু ক্রেতারা লংঝুলের চুড়িদারই বেশি চাইছেন।’’ একইভাবে হলদিয়া টাউনশিপের বস্ত্র ব্যবসায়ী রামদুলাল গিরিরও বক্তব্য, ‘‘এ বারও সুতির পোশাকের চাহিদা বেশি। তবে হট ফেভারিট হ্যান্ডলুম শাড়ি। থ্রিডি ঢাকাই ও পিওর সিল্কের শাড়িরও চাহিদা রয়েছে।’’
সুতির পোশাকের চাহিদা বেশি হওয়ার কারণ কী?
রামদুলালবাবু জানান, ‘‘পুজো এসে এলেও এখনও গরম রয়েছে। গরমে সুতির পোশাকই আরামদায়ক। সম্ভবত গরমের কারণেই বেশিরভাগ ক্রেতা দোকানে এসেই সুতির পোশাক দেখতে চাইছেন।’’ দুর্গাচকের বস্ত্র ব্যবসায়ী সুদর্শন সাহু জানান, হ্যান্ডলুম শাড়ি ৩০০-৪ হাজার টাকা পর্যন্ত দামে পাওয়া যাচ্ছে। ফলে এই শাড়িগুলি সবধরনের ক্রেতার আয়ত্তের মধ্যেই রয়েছে।
চৈতন্যপুরের এক বুটিকের মালিক সেঁজুতি জানা বলেন, ‘‘বুটিকের লং কুর্তি থেকে শুরু করে লং চুড়িদার, ছোট ও বড়দের লেহেঙ্গা চোলিরও ভাল চাহিদা রয়েছে। তবে ছোটদের লেহেঙ্গা চোলি বেশি বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়াও বুটিকের ছ’ধরনের ঘিচা শাড়িও এসেছে।

বুটিকের বিভিন্ন ধরনের ছেলেদের পাঞ্জাবিরও চাহিদা ভাল। গত বছর পুজোয় জিনসের প্যান্টের বিক্রি বেশি ছিল। এ বার ‘স্ট্রেচেবল কটন প্যান্ট’ ও ‘কটন টি-শার্ট’-এর চাহিদা বেশি। হলদিয়ার এক বস্ত্র ব্যবসায়ীর কথায়, ‘‘পুজোর ঢাকে কাঠি পড়া এখন সময়ের অপেক্ষা। তাই শেষ মুহূর্তে পুজোর কেনাকাটা সারতে ব্যস্ত ছয় থেকে ষাট।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE