মানবাধিকার ও পুলিশ— বাস্তব চিত্রপটে একে অপরের প্রতিপক্ষ। তবু মানবাধিকার রক্ষাই তাদের প্রধান ও প্রথম কর্তব্য। তত্ত্ব ও তথ্য কী ভাবে মিলে যায়, বা ঠিক কোন বিপ্রতীপে বদলে যায় তাদের পথ, তা নিয়ে বিতর্কে অংশ নিলেন সেই রক্ষকরাই।
বুধবার মেদিনীপুর পুলিশ লাইনের ‘সেফ হাউস’-এ অনুষ্ঠিত হল একটি বিতর্কসভা। বিষয়—‘পুলিশ ইজ দ্য মেন প্রোটেকটর অব হিউম্যান রাইটস’। পক্ষে ও বিপক্ষে অংশ নিয়েছিলেন পুলিশের কর্মী-আধিকারিকরাই। তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও এমন বিতর্কসভা হয়েছে। সেখানে সোচ্চারে উঠে এসেছে মাওবাদী প্রসঙ্গ। ক্যাম্পে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুলিশের প্রাণ কেড়েছে মাওবাদীরা। আবার কখনও পাল্টা প্রতিরোধ বা অভিযানে প্রাণ গিয়েছে মাওবাদীদের। সেখানেও উঠেছে মানবাধিকারের। কিন্তু এখনকার কথা আলাদা।
অভিযোগ, এখন পুলিশকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হচ্ছে শাসক দলের নেতা-কর্মীদের জন্য। কোনও নেতা পুলিশের গাড়িতে বোমা ছোড়ার কথা বলেন, কোনও নেতার মদতে থানাতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। কোথাও শাসকদলের কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করতে গিয়ে মার খেয়ে ফিরতে হয় পুলিশকে। আবার শাসকদল হামলা চালালে তা দাঁড়িয়ে দেখতে হয়। বিতর্কে অংশ নেওয়া এক পুলিশ কর্মীর কথায়, “সব দেখে শুনেও নীরব থাকতে হয়। কিছু বললেই যে সাসপেন্ড হতে হবে। কারণ, খুড়োর কলের মতোই আমাদের সামনে ঝুলতে থাকে সার্ভিস রুল। তাই এ দিন মন খুলে বলে ফেললাম।” কী বললেন, বিতর্কে যোগ দেওয়া অনেকেই বললেন, বিতর্কের বিষয়টি তো কেবল তত্বকথা মাত্র। বাস্তবের সঙ্গে তার কোনও যোগ নেই। যে পুলিশের নিজের কোনও মানবাধিকার নেই। তাঁরা আবার মানবাধিকার রক্ষায় প্রধান ভূমিকা নেবে কী করে? যুক্তি অকাট্য। তবে সে যুক্তি ধোপে টেঁকেনি। জয় হয়েছে মানবিকতারই। বিতর্কের শেষে বিচারকদের রায় গিয়েছে, তত্ত্বকথার দিকেই। পুলিশ মানবাধিকার রক্ষায় প্রধান ভূমিকা নেবে, এটাই স্বাভাবিক। প্রস্তাবের পক্ষে বক্তব্য রেখে জয়ী হয়েছেন মেদিনীপুর রেঞ্জের ঝাড়গ্রামের এসডিপিও বিবেক শর্মার দল। সভায় ছিলেন আই জি (ওয়েস্টার্ন রেঞ্জ) সিদ্ধিনাথ গুপ্ত, ডিআইজি (মেদিনীপুর রেঞ্জ) বিশাল গর্গ, জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। তবে সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার ছিল না একেবারে। এই প্রথম এমন নিষেধাজ্ঞা জারি হল।
পাশ করানোর দাবি। উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষায় সকলকে পাশ করানোর দাবিতে শিক্ষকদের ঘেরাও করে রাখল পড়ুয়ারা। মঙ্গলবার ডেবরার বালিচক ভজহরি ইনস্টিটিউশনের ঘটনা। গত ১৮ নভেম্বর প্রকাশিত হয় স্কুলের উচ্চ মাধ্যমিক টেস্ট পরীক্ষার ফল। দেখা যায় স্কুলের ১৪ জন পড়ুয়া টেস্টে অকৃতকার্য হয়েছে। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত শিক্ষকদের ঘেরাও করে রাখা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy