দারিদ্র দূরীকরণের লক্ষ্যে পতিত জমিকে ব্যবহার করে বহুমুখী কর্মসংস্থানে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। বুধবার পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতরের আর্থিক সাহায্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় ব্লকের চৌরঙ্গীতে পশ্চিমবঙ্গ পতিতজমি উন্নয়ন নিগমের উদ্যোগে প্রকল্পের সূচনা করেন দফতরের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। প্রকল্পের উদ্বোধন করে মন্ত্রী বলেন, ‘‘লাল-কাঁকুড়ে মাটিকে ব্যবহার করে চাষ যে সম্ভব-তার প্রমাণ মিলেছে। এখন পুরোদমে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এখানে গ্রামের মানুষকে চাষের পদ্ধতির প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। ৩৫০ টি পরিবার উপকৃত হবে।’’
প্রশাসন সূত্রে খবর, জঙ্গলমহল-সহ জঙ্গলমহলের বিভিন্ন ব্লকে কমবেশি পতিতজমি পড়ে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বহুদিন ধরেই পতিতজমি ব্যবহার করে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কথা বলছেন। বছর দেড়েক আগে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতর পাইলট প্রজেক্ট হিসাব গোয়ালতোড় ব্লকের পাথরপাড়া এবং জিরাপাড়া পঞ্চায়েতের হাতিয়া এবং আদালিয়া গ্রামে প্রায় ১৭৫ একর জমি চিহ্নিত করে। পরে এই জমিতে কী ভাবে চাষ সম্ভব তার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় পশ্চিমবঙ্গ পতিত জমি উন্নয়ন নিগমকে। ওই নিগমের উদ্যোগেই বুধবার এই প্রকল্পের সূচনা হল।
দুই মৌজায় কী কী চাষ হবে-তাও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে নিগম। প্রাথমিক ভাবে আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দও হয়েছে। এখানে প্রাথমিক ভাবে এ বার আদালিয়া এবং হাতিয়া গ্রামে চলবে প্রশিক্ষণ। গোয়ালতোড়ের বিডিও লোকনাথ সরকার বলেন, “জমি হস্তান্তর না হলেও ওই জমিতে চাষ করে যা আয় হবে সবই গ্রামের মানুষই ব্যবহার করবেন।’’ শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতোর কথায়, “ওই দু’টি গ্রামের আর্থিক উন্নয়ন হবে। এ বার আরও জমি দেখে অনান্য গ্রামে এই জমির মাধ্যমে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে চাষ করে জঙ্গলমহলের গ্রামগুলিকে স্বনির্ভর করে তোলা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy