সরকারি নিয়ম মেনে শহরের বেশ কয়েকটি স্কুল মিড-ডে মিল চালু করেনি, এই অভিযোগ তুলে মহকুমাশাসকের কাছে দাবিপত্র জমা দিল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার খড়্গপুরে মহকুমাশাসকের কার্যালয়ে এই দাবিপত্র দেওয়া হয়।
তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, খড়্গপুরের কয়েকটি স্কুল পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল দিচ্ছে না। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিটি স্কুলে মিড-ডে মিল বাধ্যতামূলক করার কড়া নির্দেশিকা থাকা সত্ত্বেও ওই সব স্কুল কর্তৃপক্ষ তা মানছেন না। রান্নাঘর, খাওয়ার ঘর তৈরি না করেই পরিকাঠামোর অভাবের অজুহাতে পড়ুয়াদের বঞ্চিত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তৃণমূলের। ওই স্কুলগুলিতে দ্রুত মিড-ডে মিল চালু করার জন্য মহকুমাশাসককে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে দাবিও জানানো হয়েছে।
এ দিন এই কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন, রাজ্য তৃণমূলের সদস্য শ্যামাদাস ঘোষ, জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক শশাঙ্ক পাত্র, শহর যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বিবেকানন্দ দাস চৌধুরী প্রমুখ। শশাঙ্কবাবু বলেন, “আমাদের দল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই প্রকল্প চালু করতে তৎপর হয়েছে। অথচ স্কুলগুলি নানা অজুহাত দেখাচ্ছে।” মহকুমাশাসক সঞ্জয় ভট্টাচার্য বলেন, “শহরের দু’টি স্কুল এখনও মিড-ডে মিল চালু করেনি। আগেই তাদের সতর্ক করে অগস্টের মধ্যে মিড-ডে মিল চালুর নির্দেশ দিয়েছি।”
মহকুমা প্রসাশন সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের প্রায় প্রতিটি স্কুলেই মিড-ডে মিল চালু হয়েছে। তবে রেল এলাকার কিছু স্কুলে মিড-ডে মিল চললেও সমস্যা রয়েছে। এখনও পর্যন্ত রেল এলাকায় সাউথসাউড উচ্চমাধ্যমিক (বালক) ও সাউথসাইড উচ্চমাধ্যমিক (বালিকা) স্কুলে মিড-ডে মিল চালু হয়নি। সাউথসাইড বয়েজের প্রধান শিক্ষক সুধাপদ বসু বলেন, “রেল জায়গা দিতে চায়নি। আমাদের পক্ষে স্কুলের এই পরিসরে প্রায় এক হাজার পড়ুয়ার মিড-ডে মিল চালানো সম্ভব নয়।” রেল কর্তৃপক্ষের কাছে বহু চিঠিচাপাটি করেও লাভ হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ।” খড়্গপুরের ডিআরএম গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, স্কুলের চিঠির বিষয়টি তাঁর গোচরে নেই। এ নিয়ে প্রশাসনের কোনও নির্দেশিকার কথাও জানেন না বলে দাবি গৌতমবাবুর।
দুর্ঘটনায় মৃত যুবক। পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম সামসুল বারি (২৮)। বাড়ি কেশপুর থানার মুগবসানে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মেদিনীপুর- কেশপুর রাজ্য সড়কে মেদিনীপুর কোতয়ালি থানার অন্তর্গত জামতলায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবক বাইকে ছিলেন। একটি ট্রাক্টরের সঙ্গে তাঁর সংঘর্ষ হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এখানে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর বেশ কিছুক্ষণ মেদিনীপুর- কেশপুর সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy