হলদিয়াকে অত্যাধুনিক নগর হিসাবে গড়ে তুলতে কেন্দ্রীয় সরকার স্মার্টসিটি প্রকল্পের আওতায় এনেছে। প্রকল্পভুক্ত ১০০টি শহরে মধ্যে প্রথম কুড়িতে জায়গা পাওয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন হলদিয়া পুরসভার কর্মকর্তারা। প্রায় আড়াই লক্ষ জনসংখ্যা বিশিষ্ট এই শহরে পুরসভা অনুমোদিত দু’টি শ্মশান রয়েছে। কিন্তু একটিতেও বৈদ্যুতিক চুল্লির ব্যবস্থা নেই।
বাসিন্দাদের দাবি হলদিয়া টাউনশিপের শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লির ব্যবস্থা করা হোক। এ বিষয়ে সাহায্য়ের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ ও হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষ। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদে ১লা সেপ্টেম্বর বৈঠক হয়েছে। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়েছে শ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি করার বিষয়ে।
হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান শুভেন্দু অধিকারী সোমবার জানান হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ এবং বন্দর কর্তৃপক্ষ বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরি করার খরচ অর্ধেক করে বহন করবে। হলদিয়া পুরসভা তা রক্ষণাবেক্ষণ করবে।
হলদিয়া পুরসভার আয়তন প্রায় ১০৯বর্গ কিলোমিটার। শহরের ২৬টি ওয়ার্ডে প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ বসবাস করেন। রাইরায়াচকে শ্মশান ও দুর্গাচকের রাধামাধবচকের শ্মশান দু’টি হলদিয়া পুরসভা অনুমোদিত। তবে হলদিয়া শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে অনুমতিহীন শ্মশান রয়েছে। সব মিলিয়ে পরিবেশ দূষণের সমস্যা ভয়াবহ বলে বাসিন্দাদের দাবি। মৃতদেহ সৎকার করতেও অনেক সময় লেগে যায়।
টাউনশীপের বাসিন্দা প্রশান্ত ঘোড়ই বলেন, ‘‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে বৈদ্যুতিক চুল্লির দাবি জানিয়ে আসছি। অবশেষে হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বৈদ্যুতিক চুল্লি করার উদ্যোগ নেওয়ায় আমরা তাকে স্বাগত জানাচ্ছি।’’ পুরসভার চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ মণ্ডল জানান, অনুমোদনহীন শ্মশানগুলিকে বন্ধ করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এর ফলে শহরবাসীর উপকার হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy