দিন কয়েক আগেই একটি চোরাই বাইক-সহ একজনকে পাকড়াও করেছিল ঘাটাল থানার পুলিশ। ধৃতকে জেরা করে মিলল বড়সড় বাইক চুরি চক্রের সন্ধান। সেই সূত্র ধরে শুক্রবার রাতে জেলারই গড়বেতা থানার বলরামপুর থেকে সেই চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। ধৃতকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুলিশের দাবি, ধৃতদের জেরা করে মূল চক্রীকে ধরার চেষ্টা চলছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস সাতেক আগে ঘাটাল থানার মনোহরপুরের বাসিন্দা নির্মল শীর একটি বাইক চুরি হয়। ঘাটাল শহর থেকেই নিমেষে উধাও হয়ে গিয়েছিল বাইকটি। ঘটনার পর পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। কিন্তু সন্ধান মেলেনি বাইকটির। সেই ঘটনার পর ঘাটাল থানা এলাকা থেকে আরও গোটা পাঁচেক বাইক চুরি হয়। গত মঙ্গলবার বরদা চৌকান থেকে নির্মলবাবুর চুরি হওয়া বাইক উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় গোলাম হোসেন নামে এক ব্যক্তিকেও।
পুলিশ জানিয়েছে, গোলামকে জেরা করেই বাইক চুরি চক্রের সন্ধান মেলে। এরপরই গড়বেতার বলরামপুর থেকেই আয়াতুল্লা খান নামে চক্রের এক সদস্যকে ধরে পুলিশ। জানা গিয়েছে, আয়াতুল্লা চক্রের মূল পান্ডা না হলেও বছর তিনেক ধরে সে চক্রের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। আয়াতুল্লা আগে জাল নোটের কারবার করত। পরে বাইক চুরি শুরু করে। পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও হুগলি-এই তিনটি জেলাতেই তারা সক্রিয়। আয়াতুল্লার কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে,ওই তিন জেলার মোট বাইশটি গ্যারাজে তারা চোরাই বাইক বিক্রি করত। চক্রের সদস্যরা বাইক চুরি করার পর স্থানীয় গ্যারাজে দিয়েই চম্পট দিত। আয়াতুল্লা নিজে এখনও পর্যন্ত ১২টি বাইক চুরি করেছিল।
সম্প্রতি গোলাম হোসেনও চক্রের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy