ঠোকাঠুকি: মেদিনীপুর শহরের রাস্তায় টোটোর বাড়বাড়ন্ত। নিজস্ব চিত্র
শহরের রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাজার হাজার টোটো। অথচ প্রশাসন যখন টোটোর সংখ্যা জানতে উদ্যোগী হল, শুরু হল বৈধ কাগজপত্র জমা নেওয়া, তখন তাতে আর সাড়া মিলছে না। শহরের ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে শুক্রবার পর্যন্ত ২০টি ওয়ার্ডে মাত্র ১৪৯টি টোটো-র নাম নথিভুক্ত হয়েছে। বৈধ কাগজপত্র রয়েছে এমন টোটোর সংখ্যা এত কম হওয়ায় চিন্তিত পরিবহণ দফতরের আধিকারিকেরা।
মেদিনীপুর শহরে প্রচুর অবৈধ টোটো চলছে বলে অভিযোগ। তা নিয়ে অটো মালিকেরা অনেকবার পরিবহণ দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। এরপরই প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কত টোটো রয়েছে তা জানার তোড়জোড় শুরু হয়। সেই মতো ওয়ার্ড ধরে ধরে টোটোর নাম নথিভুক্তকরণের কাজ চলছে। সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরের শংসাপত্র, ছবি, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড, টোটো কেনার কাগজপত্র-সহ টোটো নিয়ে পরিবহণ দফতরে যেতে হচ্ছে মালিকদের। সেখানে পরিবহণ দফতরের টেকনিক্যাল অফিসাররা পরীক্ষা করে দেখছেন টোটোটি ভারত সরকার অনুমোদিত সংস্থার তৈরি কিনা এবং অনুমোদিত ডিলারের থেকে কেনা হয়েছে কিনা। সব কিছু পরীক্ষার পরে ২০টি ওয়ার্ডে মাত্র ১৪৯ টি টোটো নথিভুক্ত হয়েছে।
পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক জানান, কিছু টোটো অনুমোদিত ডিলারের থেকে না কেনায় সমস্যা হয়েছে। আর কিছু টোটো ভারত সরকারের অনুমোদিত সংস্থার তৈরি না হওয়ায় নথিভুক্ত না করে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু শহরে যেখানে এত টোটো চলছে, সেখানে নথিভুক্ত টোটোর সংখ্যা এত কম কেন? মেদিনীপুর টোটো পরিবহণ শ্রমিক কংগ্রেসের সম্পাদক শেখ সইফুল বলেন, ‘‘সরকারের অনুমোদন নেই এমন ডিলাররা টোটো বিক্রি করছেন। তাঁদের থেকে টোটো কিনে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। পরিবহণ দফতরের উচিত ওই ডিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।’’ জেলা অতিরিক্ত পরিবহণ আধিকারিক অমিত দত্ত বলেন, ‘‘পরিবহণ দফতরের অফার লেটার ছাড়া টোটো বিক্রি করায় নিষেধাজ্ঞা ছিল ডিলারদের। নিয়ম না মানায় সমস্যায় পড়ছেন সকলেই।’’ অমিতবাবুর আরও মন্তব্য, ‘‘কম সংখ্যক টোটো নথিভুক্ত হওয়ায় আমরাও চিন্তিত। বিষয়টি প্রশাসনের উপরমহলের নজরে আনব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy