সাবধান: উত্তাল সমুদ্রে না নামতে পর্যটকদের নিষেধ করতে মাইকে প্রচার। নিজস্ব চিত্র
ফের দিঘার সমুদ্রে তলিয়ে মৃত্যু হল এক পর্যটকের। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ৯টা নাগাদ ওল্ড দিঘার ১ নম্বর ঘাটের কাছে তলিয়ে যান সোনু দাস (৩৫)। নুলিয়া ও দিঘা কোস্টাল থানার পুলিশ রাতভর তল্লাশি চালিয়েও সন্ধান পায়নি তাঁর। রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ শঙ্করপুরের অশোকা ঘাট এলাকা থেকে দেহ উদ্ধার করে মন্দারমণি কোস্টাল থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ওই যুবক উত্তর শহরতলির নিউ ব্যারাকপুরের বাসিন্দা। তাঁর দুই বন্ধু সোমনাথ দাস ও উৎপল দে-র সঙ্গে দিঘায় এসেছিলেন। সঙ্গে ছিলেন উৎপলের স্ত্রী ও সন্তানও। উৎপলবাবু বলেন, ‘‘ওই রাতে আমরা সকলে বসেছিলাম ওল্ড দিঘায় সমুদ্রের পাড়ে বোল্ডারের উপর। হঠাৎ সোনু জলে নামেন, কিন্তু সেটা হাঁটু জল। আচমকা দমকা হাওয়ায় উল্টে প়ড়ে সোনু। তারপর ব়ড় ঢেউয়ে তলিয়ে যায়।’’ স্থানীয় দোকানদারেরও দাবি করেছেন, সোনু যখন জলে নামেন, তখনই তাঁরা নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু তিনি কারও কথা শোনেননি। পুলিশ সোনুর বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
তবে ওই রাতে ওল্ড দিঘায় কোনও নুলিয়া ছিলেন না। সাধারণ নুলিয়ারা সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২ টো পর্যন্ত সৈকতে থাকেন। বেলা ৩টের পর কার্যত কোনও নজরদারি থাকে না। পর্যটকদের একাংশ দাবি তুলেছেন, দুপুর ২টোর পর নুলিয়া না থাকলে ওই সময় থেকে সমুদ্রে নামা নিষিদ্ধ করুক প্রশাসন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ইন্দ্রজিৎ বসু অবশ্য বলেন, ‘‘রাতে সমুদ্রে নামা সব সময়ই নিষিদ্ধ। সৈকতে নজরদারির জন্য পুলিশও মোতায়েন থাকে। কিন্তু এই ভিড়ে সবাইকে আলাদা আলাদা করে তো নজরে রাখা সম্ভব নয়। এ জন্য পর্যটকদের নিজস্ব সচেতনতাই বেশি জরুরি।’’ ইন্দ্রজিৎবাবুর দাবি, শনিবারও তাঁদের নজর এড়িয়েই জলে নেমেছিলেন সোনু।
শনিবার থেকে উপকূল এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। বড় বড় ঢেউ ইতিমধ্যেই উত্তাল হয়ে উঠেছে। আবহাওয়া খারাপ থাকার পূর্বাভাসও ছিল আবহাওয়া দফতরের তরফে। তাই রবিবার সারাদিন পর্যটকদের জলে নামতে নিষেধ করেছে প্রশাসন। নুলিয়া ও পুলিশ সৈকতে মাইক নিয়ে প্রচার চালিয়েছে। টানা তিন সপ্তাহে এ রকম তিনটি ঘটনা ঘটায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy