Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

কর্মীদের মারের নালিশ পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে

সুদীপবাবুর দাবি, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে দু’টি পুকুর নতুন করে খনন করানোর কথা ছিল। কিন্তু জানাঘাটি সংসদের হরিমণ্ডপ পুকুর ও ভাতানডিহা সংসদের একটি পুকুর দু’টি জেসিবি মেশিন দিয়ে খনন করিয়ে নেওয়া হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০১৭ ০২:০০
Share: Save:

এক নির্মাণ সহায়ককে মারধর ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকের আমরদা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। প্রশাসনিক মহলে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন নিগৃহীত নির্মাণ সহায়ক সুদীপ গিরি। তাঁর অভিযোগ, কাজ না করিয়েই টাকা তুলে নিতে চাইছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান মানস পাত্র। কিন্তু তিনি কাগজে সই করতে চাননি। সে কারণেই তাঁর উপর হামলা হয়েছে। মারধর করা হয়েছে নির্বাহী সহায়ক-সহ বেশ কয়েকজন পঞ্চায়েত কর্মীকেও। এমনকী সুদীপবাবু, তদন্তের কথা তুলতেই তাঁকে প্রাণে মারার হুমকিও দেন মানসবাবু।

সুদীপবাবুর দাবি, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে দু’টি পুকুর নতুন করে খনন করানোর কথা ছিল। কিন্তু জানাঘাটি সংসদের হরিমণ্ডপ পুকুর ও ভাতানডিহা সংসদের একটি পুকুর দু’টি জেসিবি মেশিন দিয়ে খনন করিয়ে নেওয়া হয়। এগুলি নতুন করেও খনন করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘‘জানাঘাটি সংসদের পুকুর খননে ২৬ হাজার টাকার কাজ হয়েছে। অথচ ১ লক্ষ ৮৬ হাজার বিলে সই করার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। আবার, ভাতানডিহা সংসদে পুকুর খননে ১৩ হাজার টাকার কাজ হলেও ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকার বিল নিয়ে আসেন মানস পাত্র।’’ এ ছাড়া, জানাঘাটি সংসদে একটি ফলের বাগান তৈরির জন্য ১২ হাজার ৮০০টি গর্ত খোঁড়ার কথা থাকলেও মাত্র ৪১০০ গর্ত হয়েছে। সেখানেও পুরো টাকা তুলে নিতে চেয়েছিলেন মানসবাবু।

তাঁর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চায়েত প্রধানের নেতৃত্বে বেশ কিছু লোকজন সই করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। তিনি রাজি না হওয়ায় তাঁকে এবং নির্বাহী সহায়ক সঞ্জয় বিদ ও কয়েকজন পঞ্চায়েত কর্মীকে মারধর করা হয়। পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। বিডিও, মহকুমাশাসক এবং জেলাশাসককের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন সুদীপবাবু। পঞ্চায়েত প্রধান মানস পাত্র অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘আমি কেন মারধর করতে যাব? নির্মাণ সহায়ক বিনা করাণে প্রচুর শ্রমিকের নাম কেটে বাদ দিয়েছেন। সে জন্য শ্রমিকরাই পঞ্চায়েত অফিসে চড়াও হয়েছিলেন। আমি বরং তাঁদের সরিয়ে দিয়েছি।’’ উল্টে তিনি দাবি করেন, সুদীপবাবু সময় মতো অফিসে আসেন না। এ তাঁকে সতর্ক করা হয়েছিল বলেই তিনি প্রধানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। গোপীবল্লভপুর-১ বিডিও বিশ্বনাথ চৌধুরী বলেন, ‘‘দু’পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। সোমবার পঞ্চায়েত সমিতির সভায় অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Panchayat Pradhan TMC Jhargram
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE