Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

হিংসার নালিশ অব্যাহত দুই মেদিনীপুরে

পুড়ে গিয়েছে দলীয় কার্যালয়। — নিজস্ব চিত্র।

পুড়ে গিয়েছে দলীয় কার্যালয়। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম ও হলদিয়া শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৬ ০১:২৪
Share: Save:

শপথ নেওয়ার দিনেই মন্ত্রী চূড়ামণি মাহাতোর বিধানসভা এলাকায় সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি ভাঙচুর, লুঠ করে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের গোপীবল্লভপুর বিধানসভার অন্তর্গত সাঁকরাইল ব্লকের আঁধারি-মৌভাণ্ডার গ্রামে সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের দু’টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয় একটি বাড়িতে।

বুধবার ওই গ্রামে তৃণমূলের একটি বিজয় মিছিলে হামলা চালানোর অভিযোগে দুই মহিলা-সহ ছয় সিপিএম কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার আদালতে দুই মহিলার জামিন মঞ্জুর হয়। চার সিপিএম কর্মীকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ হয়। এরপর শুক্রবার সকালে তৃণমূলের লোকজন আঁধারি-মৌভাণ্ডার গ্রামে অভিযুক্ত সিপিএম কর্মী বিমল দণ্ডপাট ও রঞ্জিত ঘোড়ইয়ের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন বলে অভিযোগ। বিমল দণ্ডপাট গ্রেফতার হয়ে আদালতের নির্দেশে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। রঞ্জিত ঘোড়ই পলাতক।

ঘরছাড়া সিপিএম কর্মী ভীম খামরুইয়ের বাড়িতেও ভাঙচুর হয়। সিপিএমের সাঁকরাইল জোনাল কমিটির সম্পাদক বাদল রানার অভিযোগ, তৃণমূলের আঁধারি অঞ্চল সভাপতি ভাগবত মান্নার নেতৃত্বে হামলা হয়। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভাগবতবাবু। তৃণমূলের সাঁকরাইল ব্লক সভাপতি সোমনাথ মহাপাত্র বলেন, “এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর জন্য এটা সিপিএমের পরিকল্পিত চক্রান্ত। ওরা নিজেরাই নিজেদের বাড়ি পুড়িয়ে আমাদের নামে দোষ দিচ্ছে।”

সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে হলদিয়াতেও। স্থানীয় বিধায়ক তাপসী মণ্ডলের অভিযোগ বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর বাড়ির সামনে বোমা ছোড়া হয়। দু’টি বোমা ফাটে সে সময়। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হলে ওই রাতেই পুলিশ আরও তিনটি বোমা নিষ্ক্রিয় করে। তাপসীদেবী বলেন, ‘‘গভীর রাতে বোমা ফাটার শব্দে বাইরে বেরিয়ে দেখি গ্রিলের সামনে ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে। ঘটনার কথা হলদিয়া থানাতে জানাই। পুলিশ এসে বাকি বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করে। এলাকায় আতঙ্ক ছড়াতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই এ সব করছে।’’ হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘তাপসী মণ্ডলের বাড়িতে বোম ফেলার অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে।’’

যদিও ঘটনার দায় অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

সিপিএমের হলদিয়া জোনাল সম্পাদক শ্যামল মাইতি বলেন, ‘‘সূর্যকান্ত মিশ্র ও কংগ্রেস নেতা মনস ভুঁইয়ার হলদিয়া আসার কথা ছিল। তখন প্রশাসন অনুমতি দিল না বলে ওঁরা আসতে পারেননি। কিন্তু আসল জায়গায় প্রশাসন নিরপত্তা দিতে পারছে কোথায়?’’

উল্টো দিকে, শুক্রবার এ দিন হলদিয়া পুরসভার ভবানীপুরে তাদের কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। নেতৃত্বের দাবি সিপিএম এই ঘটনায় জড়িত। সিপিএম অবশ্য দায় অস্বীকার করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE