সরব: বেলদায় প্রতিবাদ মিছিল বস্ত্র ব্যবসায়ীদের। নিজস্ব চিত্র
দেশ জুড়ে পণ্য পরিষেবা কর (জিএসটি) চালু হলেও তাঁদের ব্যবসায় এই কর লাগু হবে না বলেই আশায় ছিলেন বেলদার বস্ত্র ব্যবসায়ীরা। তাই সারা দেশে আন্দোলন হলেও পথে নামেননি তাঁরা। কিন্তু দাবি পূরণ না হওয়ায় জিএসটি প্রত্যাহারের দাবিতে এ বার ধর্মঘটে সামিল হলেন বেলদার বস্ত্র ব্যবসায়ীরা।
রবিবার বেলদা শহরের কোনও কাপড়ের দোকান খোলেনি। বেরিয়েছে বিশাল র্যালি। বেলদা গঙ্গাধর অ্যাকাডেমির সামনে থেকে শুরু হয়ে বেলদা বাজার ঘুরে থানার কাছে র্যালি শেষ হয়। বেলদা ছাড়াও নারায়ণগড়, দাঁতন, কেশিয়াড়ি, সবং, কুলটিকিরি, নয়াগ্রাম, খড়িকা-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার বস্ত্র ব্যবসায়ীরা তাতে সামিল হয়েছিলেন। র্যালি থেকে বস্ত্র ব্যবসায় ‘গুডস অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স’ (জিএসটি) প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। বেলদা ফেডারেশন অফ ট্রেডার্স অর্গানাইজেশনের সহযোগিতায় এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন রাজু চাণ্ডক, দিলীপ জৈন, অজিত জৈন।
বস্ত্র ব্যবসায়ীদের দাবি, জিএসটি চালু হওয়ায় তাঁদের ব্যবসায় মন্দা দেখা দিয়েছে। দেশ জুড়ে জিএসটি প্রত্যাহারের দাবিতে বিভিন্ন কাপড়ের কারখানা, মহাজনেরা যে ভাবে আন্দোলন চালাচ্ছেন তাতে কাপড় কিনতে পারছেন না প্রত্যন্ত এলাকার এই ব্যবসায়ীরা। আবার কিছু ক্ষেত্রে কাপড় কিনলেও জিএসটি নম্বর না থাকায় পরিবহণ সংস্থা তা আনতে রাজি হচ্ছে না। এতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ছোট ব্যবসায়ীরা।
কিন্তু কেন জিএসটি নম্বর নিচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা? তাঁদের দাবি, কাপড় ব্যবসায় এতদিন কোনও কর ছাড়াই কেনাবেচা করতে পারতেন তাঁরা। এখন জিএসটি নম্বর নেওয়ার পাশাপাশি কম্পিউটারে হিসাব রক্ষার যে ঝক্কি, তা সামলানো তাঁদের পক্ষে খুব কঠিন। আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা রাজু চাণ্ডক বলেন, “জিএসটি চালু হলে ছোট ব্যবসায়ীরা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবেন। সামনে পুজো। তখনও ব্যবসা করতে পারবেন না। তাই আন্দোলনে নামতে বাধ্য হলাম।” সমস্যা না মিটলে ১৫-২০দিন পরে লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বস্ত্র ব্যবসায়ীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy