Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

মদ্যপদের উৎপাত, পানশালা পোড়ানোর হুঁশিয়ারি দিলীপের

রেলশহরের যে পানশালা নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ, তা বন্ধের দাবি সমর্থন করলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার সকালে খড়্গপুরের মালঞ্চ চণ্ডীপুরের বাসিন্দারা দিলীপবাবুর কাছে স্মারকলিপি দিতে যান। সব শুনে বেজায় চটে যান দিলীপবাবু।

পানাশালার বিরুদ্ধে স্মারকলিপি খড়্গপুর থানায়। হাজির বিজেপি বিধায়ক দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র।

পানাশালার বিরুদ্ধে স্মারকলিপি খড়্গপুর থানায়। হাজির বিজেপি বিধায়ক দিলীপ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৬ ০১:৩২
Share: Save:

রেলশহরের যে পানশালা নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ, তা বন্ধের দাবি সমর্থন করলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার সকালে খড়্গপুরের মালঞ্চ চণ্ডীপুরের বাসিন্দারা দিলীপবাবুর কাছে স্মারকলিপি দিতে যান। সব শুনে বেজায় চটে যান দিলীপবাবু। তারপর এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে টাউন থানায় যান। অন্য এলাকার ঠিকানার লাইসেন্সে কী ভাবে চণ্ডীপুরে লোকালয়ে এই পানশালা চলছে সেই প্রশ্ন তোলেন বিজেপি বিধায়ক। আইসির সঙ্গে দেখা করে অবিলম্বে পানশালা সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান তিনি। পরে দিলীপবাবুর সঙ্গে দেখা করেন বিদেশি মদ ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্যরা। তাঁরা অবশ্য এলাকাবাসীর অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করেন। তবে মদ ব্যবসায়ীদের কার্যত ভর্ৎসনা করে ওই পানশালা পুড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বিধায়ক। এ দিন মেদিনীপুরে বিজেপি অফিসেও বৈঠক করেন দিলীপবাবু।

চণ্ডীপুরের বহু পুরনো এই পানশালায় আগে দেশি মদ মিলত। পরে দোকান সম্প্রসারিত করে বিদেশি মদের কারবার শুরু করেন পানশালা মালিক। পাড়ার মধ্যে ওই পানশালা চলায় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে সরব হন স্থানীয়রা। অভিযোগ, দেওয়ানমারোর ঠিকানার লাইসেন্স নিয়ে চণ্ডীপুরে ওই পানশালা চলছে। লোকালয়ে পানশালা বন্ধের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন মহলে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন এলাকাবাসী। সংবাদপত্রে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পরে আবার অভিযোগকারী পরিবারের যুবক সন্দীপ নাগকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। তাতে গ্রেফতার হন পানশালা মালিক। তবে জামিন পান। এরপর পানাশালা নিয়ে আন্দোলনের মাত্রা চড়েছে। দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন মহকুমাশাসক সঞ্জয় ভট্টাচার্য। কিন্তু অশান্তি থামেনি।

বৃহস্পতিবার রাতেও এলাকায় গোলমাল ছড়ায়। পানশালা থেকে মদ কিনে রাস্তায় বসে মদ্যপানের প্রতিবাদে সরব হন এলাকাবাসী। তারপর এ দিন সকালে বিধায়ক দিলীপবাবুর কাছে যান পাড়ার মহিলারা। পরে থানায় গিয়ে পানশালা সরানোর দাবি জানান বিধায়ক। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠক শেষে বিধায়কের সঙ্গে দেখা করেন বিদেশি মদ ব্যবসায়ী সংগঠনের জেলা সহ-সভাপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ সংগঠনের সদস্যরা। ছিলেন ওই পানশালার মালিক পরিবারের সদস্যরাও। তাঁদের দাবি, এলাকার বাসিন্দারা অকারণ অশান্তি করছে। এর সপক্ষে সিসিটিভি ফুটেজের সিডিও দেওয়া হয় বিধায়ককে। যদিও দিলীপবাবু বলেন, “মদ দোকানের মালিক নয়, মানুষের ভোটে জয়ী হয়েছি। এতগুলি মানুষের কথা মিথ্যা হতে পারে না। পাড়ায় মদ্যপদের উৎপাত বন্ধ হলে এলাকার মানুষ চুপ করে থাকবে আমি কথা দিচ্ছি। তবে এর পরেও যদি গোলমাল হয় আমি নিজে এলাকার বাসিন্দাদের গিয়ে পানশালা পুড়িয়ে দিয়ে আসব।”

বিধায়কের কথায় আশ্বাস পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সন্দীপ নাগ, অর্চনা সরকার, দীপিকা সরকারদের প্রতিক্রিয়া, “আমরা বিধায়কের কথায় ভরসা পেয়েছি। তবে প্রশাসন পানশালা বন্ধে উদ্যোগী নয়। দরকারে আন্দোলন আরও জোরদার হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BJP MLA
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE