মাস খানেক আগে ওড়িশার রাউরকেলায় শ্রমিকের কাজে গিয়েছিলেন কেশিয়াড়ির দাসিসরিষা গ্রামের সাত জন বাসিন্দা। দিন পাঁচেক আগে গ্রামে ফিরে আসার পরেই জ্বরে আক্রান্ত হন তাঁদের মধ্যে চার জন। মাথা ব্যথা শুরু হতে তাঁদের কেশিয়াড়ি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার রক্ত পরীক্ষার পরে জানা যায়, তাঁরা ফ্যালসেফেরাম ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত।
ম্যালেরিয়া আক্রান্তের খবর পেয়ে বুধবার দাসিসরিষা গ্রামে যান স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা। ম্যালেরিয়া সম্পর্কে সচেতনতার পাশাপাশি প্রায় ২১০ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। জেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তথা মশাবাহিত রোগের নোডাল অফিসার রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, “কেশিয়াড়িতে বেশ কয়েকজনের দেহে ম্যালেরিয়ার জীবাণু পাওয়া গিয়েছে। ওডিশাতেই ওঁদের মশা কামড়েছিল। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। রক্তের নমুনা সংগ্রহ ও সচেতনতা বাড়ানোর জন্য একটি দল এলাকায় গিয়েছিল।”
জ্বর ও মাথাব্যথার উপসর্গ নিয়ে গ্রামের আশিস হাতি, শঙ্কর মুর্মু, ঝরু পাতর ও লক্ষ্মীন্দর পাতরকে কেশিয়াড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁদের সকলের রক্ত পরীক্ষা করা হয়। চারজনের রক্তে ফ্যালসিফেরাম ম্যালেরিয়ার জীবাণু ধরা পড়েছে। ঝরু পাতরের স্ত্রী বাসন্তী পাতর বলেন, “ওডিশায় আমরা মশারি টাঙিয়ে শুতাম। কিন্তু কাজের সময়ে খুব মশা কামড়াতো। সে জন্যই হয়তো ম্যালেরিয়া হয়েছে।”
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ম্যালেরিয়ার মশা কামড়ানোর ১২ থেকে ১৫ দিন পরে ম্যালেরিয়া ধরা পড়ে। তাই এই ঘটনায় কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না স্বাস্থ্য দফতর। এ দিন ওই গ্রামে গিয়েছিল জেলা স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল। ছিলেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক তরুণী শীট। ম্যালেরিয়ার হাত থেকে বাঁচতে কী করণীয় সে সম্পর্কে গ্রামের সকলকে পরামর্শ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে গ্রামের ২১০ জনের রক্তের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য লক্ষ্মণ শীট বলেন, “গ্রামের অনেকে ওডিশায় থেকে ফিরে আসার পর ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় অনেকে আতঙ্কে ছিলেন। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতর সকলের রক্ত পরীক্ষা করায় আতঙ্ক ধীরে ধীরে কাটছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy