সজাগ: হাসপাতাল জুড়ে সিসি ক্যামেরা (চিহ্নিত)। নিজস্ব চিত্র
গোটা হাসপাতাল চত্বরে জুড়ে ৪৮টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। আর এতেই মেদিনীপুর মেডিক্যালে চুরি-ছিনতাইয়ে রাশ টানা সম্ভব হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। যে ক’টা ঘটনা ঘটছে, তারও দ্রুত কিনারা হয়ে যাচ্ছে।
অথচ, সিসি ক্যামেরা বসানোর আগে ছবিটা ছিল অন্য। প্রায়ই মেডিক্যালে চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটত। কখনও রোগীর কিংবা রোগীর পরিজনেদের জিনিসপত্র খোওয়া যেত। কখনও হাসপাতাল কর্মীদের জিনিস খোওয়া যেত। সিসি ক্যামেরা না থাকায় দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা যেত না। ক্যাম্পাস জুড়ে সিসি ক্যামেরা বসানোয় সেই ছবিটা পাল্টেছে বলে জানালেন হাসপাতাল সুপার তন্ময়কান্তি পাঁজা। সুপারের কথায়, “৪৮টি সিসি ক্যামেরা বসানোর ফলে হাসপাতালের নিরাপত্তা আরও জোরদার হয়েছে। গত এক মাসে তেমন অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেনি।”
মাস খানেক আগে হাসপাতাল চত্বর থেকে একটি মোটরবাইক চুরি যায়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। পুলিশের দাবি, শীঘ্রই অভিযুক্ত ধরা পড়বে। জেলা পুলিশের এক কর্তা মানছেন, “বাইক চুরির সময়ের ছবি ফুটেজে ধরা পড়েছে। অভিযুক্ত বেশি দিন পালিয়ে পালিয়ে বেড়াতে পারবে না।” হাসপাতালের এক কর্তা জানালেন, এখান থেকে আগেও বাইক চুরি গিয়েছে। কিন্তু অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। এ বার তা সম্ভব হয়েছে।
মেডিক্যাল ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা বসেছে গত ফেব্রুয়ারিতে। তার আগে কখনও প্রতীক্ষালয় থেকে রোগীর পরিজনের মানিব্যাগ খোওয়া গিয়েছে, কখনও হাসপাতালের স্টোর থেকে সিরিঞ্জ চুরি গিয়েছে। ওয়ার্ডের মধ্যে থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডারও চুরি যায়। এখানেই শেষ নয়, চিকিৎসকের মোবাইল, রোগীর পরিজনের কানের দুল পর্যন্ত চুরি গিয়েছিল। একের পর এক ঘটনা ঘটায় নড়ে বসেন হাসপাতাল-কর্তারা। ক্যাম্পাস জুড়ে সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত হয়। হাসপাতালের এক কর্তার কথায়, “ক্যাম্পাসে আরও ১০-১২টি সিসি ক্যামেরা বসানোর চেষ্টা চলছে। এর ফলে নজরদারি আরও বাড়বে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy