ব্যাঙ্কে প্রতারণা কাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতাকে ফের নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সিআইডি। এর আগেও সুকুমার ভুঁইয়া নামে ওই নেতার পাঁচ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ হয়েছিল। সেই মেয়াদ শেষে শনিবার তাঁকে ফের মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করানো হয়।
এ দিন তদন্তকারী সংস্থার তরফে ধৃতকে ফের ন’দিনের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। বিচারক পাঁচ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
এই সময়ের মধ্যে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে? না-হলে ফের হেফাজতে চাওয়া হল কেন?
মামলার তদন্তকারী অফিসার নীরেন ভট্টাচার্য অবশ্য মুখ খুলতে নারাজ। তবে সিআইডির অন্য এক কর্তা মানছেন, “ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু তথ্যই মিলেছে। তদন্ত এগোচ্ছে। সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
মেদিনীপুর শহরের বার্জটাউনে ‘মহিলা কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি’ নামে এই মহিলা সমবায় ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতির সম্পাদিক মধুমিতা ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। মধুমিতাদেবী ধৃত সুকুমারবাবুর স্ত্রী। অভিযোগ, স্ত্রীকে সামনে রেখে ব্যাঙ্কের সব কিছু পরিচালনা করতেন তিনিই। প্রায় ১ কোটি ৩১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা তছরুপের মামলার তদন্ত করছে সিআইডি। ইতিমধ্যে সিআইডির দল একাধিকবার ব্যাঙ্কে হানা দিয়েছে।
দিন কয়েক আগে সুকুমারবাবুকে সঙ্গে নিয়েও ব্যাঙ্কে হানা দেন তদন্তকারী অফিসারেরা। দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চলে। সুকুমারবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়।
সিআইডির এক কর্তা বলেন “গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এগুলি তদন্তে সহায়ক হবে।” জানা গিয়েছে, এই প্রতারণা মামলায় আরও কয়েকজন জড়িত। অভিযুক্তদের খোঁজ ইতিমধ্যে কয়েকটি এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়েছে।
পাশাপাশি, এই সময়ের মধ্যে ব্যাঙ্কের আরও বেশ কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে কথা বলেছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। ইতিমধ্যে এই মামলায় ব্যাঙ্কের মেদিনীপুর শাখার ম্যানেজার আদালতে গোপন জবানবন্দিও দিয়েছেন। তদন্তে ধৃতের সম্পত্তির নানা দিকও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy