Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বিজেপি ও তৃণমূলের দ্বন্দ্বে তপ্ত পেটবিন্ধি

আহতদের মধ্যে পেটবিন্ধি অঞ্চল তৃণমূলের দুই নেতা নুপুর দিগার ও অভিমন্যু মণ্ডলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। গুরুতর জখম এক বিজেপি কর্মীকেও মেদিনীপুর কলকাতায় রেফার করা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০০:৩৯
Share: Save:

বিজেপি-তৃণমূল কর্মীদের হাতাহাতিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ঝাড়গ্রাম জেলার বেলিয়াবেড়া থানার পেটবিন্ধি এলাকা। শনিবার বিকেলে ওই ঘটনায় স্থানীয় তেঘরা, কালিঞ্জা ও ভোল গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলমাল হয়। বিজেপির দাবি, তাদের ১১ জন কর্মী আহত হয়েছে। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, তাদেরও ১১ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে পেটবিন্ধি অঞ্চল তৃণমূলের দুই নেতা নুপুর দিগার ও অভিমন্যু মণ্ডলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। গুরুতর জখম এক বিজেপি কর্মীকেও মেদিনীপুর কলকাতায় রেফার করা হয়েছে। বাকিরা স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসাতালে চিকিত্সাধীন।

বিজেপি-র রাজ্য সহ-সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী এবং বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি সুখময় শতপথীর গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের লোকজনের বিরুদ্ধে। আবার তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর-লুঠ, দোকান ভাঙচুর, তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর, গবাদি পশু লুঠপাটের অভিযোগ উঠেছে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। তিনটি গ্রামেই পুলিশ টহল দিচ্ছে। তেঘরা গ্রামে পুলিশ পিকেট বসেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন পেটবিন্ধি পঞ্চায়েতের দাঁড়িয়া থেকে কালিঞ্জা শিব মন্দির পর্যন্ত বিজেপি-র একটি মিছিল ছিল। ছিলেন দলের রাজ্য সহসভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী। মিছিলের পরে সেখানে বিজেপি-র সভা ছিল। মিছিলটি শেষ হতেই বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে মারপিট শুরু হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির নেতা-কর্মীরা মিছিল শেষ হতেই ভোল গ্রামে গিয়ে প্ররোচনা ছড়ায়। উভয় পক্ষের গোলমাল চলাকালীন বেছে বেছে তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর-লুঠ চালানো হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি-র পাল্টা দাবি, মিছিল শেষ হওয়ার পরে কালিঞ্জা গ্রামে সভা হয়। কিন্তু তৃণমূলের লোকেরা সভাস্থলে এসে বিজেপি কর্মীদের উপর চড়াও হয়। নেতাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

বেলিয়াবেড়া ব্লক তৃণমূলের সভাপতি কালীপদ সুর বলেন, এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে গোলমাল পাকিয়েছে বিজেপি। এখন আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে। বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি সুখময় শতপথীর দাবি, “তৃণমূলের লোকেরা আমার ও রাজ্য সহসভাপতির গাড়ি ভাঙচুর করেছে। সেই কারণেই উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূলের পায়ের তলায় মাটি নেই। আমাদের অনুষ্ঠান বানচাল করার জন্যই পরিকল্পিত ভাবে হামলা হয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলার এসপি অভিষেক গুপ্ত বলেন, এখনও কোনও পক্ষ লিখিত অভিযোগ করেননি। তদন্ত হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC BJP ঝাড়গ্রাম
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE