Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

খেলার মাঠে পাঁচিল দিতে ১০ লক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর, খুশি খেমাশুলি

স্থানীয় গৌর মাহাতো, অরূপ মাহাতোরা বলছিলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। মাঠের পাঁচিল তৈরি খুব জরুরি। উনি আমাদের আর্জিতে সাড়া দিয়েছেন। আশা করি, দ্রুতই পাঁচিল তৈরি হবে।’’

অপেক্ষায়: এই মাঠই ঘেরা হবে পাঁচিলে। নিজস্ব চিত্র

অপেক্ষায়: এই মাঠই ঘেরা হবে পাঁচিলে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৭ ০৬:৫০
Share: Save:

খেলার মাঠের পাঁচিল তৈরির জন্য টাকা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে যে এত চটজলদি সাড়া মিলবে, ভাবতে পারেননি খেমাশুলির মানুষ। স্থানীয় গৌর মাহাতো, অরূপ মাহাতোরা বলছিলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। মাঠের পাঁচিল তৈরি খুব জরুরি। উনি আমাদের আর্জিতে সাড়া দিয়েছেন। আশা করি, দ্রুতই পাঁচিল তৈরি হবে।’’

তিনদিনের সফরে গত সোমবার ঝাড়গ্রামে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা থেকে সড়ক পথেই ঝাড়গ্রামে পৌঁছন তিনি। খড়্গপুরের চৌরঙ্গি পেরিয়ে যাওয়ার সময় তিনি দেখেন, খেমাশুলির কাছে একদল যুবক দাঁড়িয়ে রয়েছেন। গাড়ি থামানোর নির্দেশ দেন তিনি। যুবকদের সঙ্গে কথা বলেন। তখনই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে খেলার মাঠের পাঁচিল তৈরির আর্জি জানান স্থানীয়রা। বলেন, এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই মাঠের উন্নতির জন্য টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। এ বার যেন পাঁচিল তৈরির অর্থ বরাদ্দ হয়। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দেন, ‘আমি দেখে নেবো।’ শুধু আশ্বাসেই থেমে থাকেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠকে খেমাশুলির মাঠে পাঁচিল তৈরির জন্য ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দের নির্দেশ দেন তিনি।

এর আগে মাঠের উন্নতির জন্যও ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, বৈঠক চলাকালীনই খেমাশুলির কথা উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। তিনি জানান, খেমাশুলির মানুষ তাঁর কাছে মাঠের পাঁচিল তৈরি করে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। ওখানে পাঁচিল তৈরি করে দিতে হবে। এ জন্য যেন ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে দেওয়া হয়। প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, ক্রীড়া দফতর এই অর্থ বরাদ্দ করবে। প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, অর্থ বরাদ্দ হলেই পাঁচিল তৈরির কাজ শুরু হবে।

খড়্গপুর গ্রামীণের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোর মধ্যে খেমাশুলি অন্যতম। এলাকার উপর দিয়ে গিয়েছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। জাতীয় সড়কের একদিকে অর্জুনিপল্লি উন্নয়নী জ্ঞান মন্দির। এটি খেমাশুলি হাইস্কুল নামেই পরিচিত। স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ১,২০০। খেলার মাঠটি রয়েছে স্কুলের পাশেই। তবে মাঠটি আগে খেলার উপযোগী ছিল না। সংস্কারের পরে হাল কিছুটা ফিরেছে। তবে স্থানীয়দের বক্তব্য, মাঠের আরও উন্নতি দরকার। উঁচু- নীচু জায়গাগুলোর সমতলীকরণ দরকার। মাঠের পাশেই সড়ক। ফলে কখনও কখনও মাঠের বল সড়কে চলে আসে। বল আনতে সড়কে আসে ছেলেমেয়েরা। ফলে, দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। খেমাশুলি হাইস্কুলের ক্রীড়া-শিক্ষক গৌতমকুমার ভকত বলছিলেন, “মাঠের পাশে জাতীয় সড়ক। পাঁচিল থাকলে ছেলেমেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে আর তেমন চিন্তায় থাকতে হবে না।’’ স্থানীয় আশিস মাহাতোর কথায়, “ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার জন্যও পাঁচিল জরুরি।’’ প্রদীপ মাহাতো, সোমা মাহাতোর মতো ছাত্রছাত্রীরাও বলছে, “খেলার মাঠে পাঁচিল হলে খুব ভাল হয়। স্কুলের কাছে ওই রাস্তা পেরোতে হবে ভাবলেই আতঙ্ক হয়। পাঁচিল হলে সব দিক থেকে সুবিধে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Play ground Wall Mamata Banerjee
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE