Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

দ্বন্দ্বে থমকে কংগ্রেসের প্রচার

দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা পড়ে গিয়েছে সব রাজনৈতিক দলের। আগামী ৯ এপ্রিল ভোট। ফলে এ বার পালা প্রচারের।

শান্তনু বেরা
কাঁথি শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৭ ০০:১৮
Share: Save:

দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা পড়ে গিয়েছে সব রাজনৈতিক দলের। আগামী ৯ এপ্রিল ভোট। ফলে এ বার পালা প্রচারের। মঙ্গলবার থেকে প্রচার শুরুও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই প্রচার থেকে মুখ ফিরিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। অভিযোগ, দলের কোন্দলের জেরেই দলের এই প্রচার বিমুখ হাল।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টা। কাঁথির থানাপুকুরপাড়ের মহকুমা কংগ্রেস দফতরে একাই বসে ছিলেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা শৈলজা দাস। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত টানা ১০ বছর দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক ছিলেন। কাঁথির কংগ্রেসের শেষ কথা। ২৪ ঘন্টা আগেই কংগ্রেস প্রাথী নবকুমার নন্দ মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এখন তো শৈলজাবাবুকে ঘিরে কর্মীদের ভোট প্রচারের জন্য কৌশল জানার কথা। কিন্তু কোথায় কী!

মুখে হাসি ফুটিয়ে শৈলজাবাবুর স্পষ্ট জবাব, “প্রাথী নির্বাচন নিয়ে দলীয় কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। অনেকেই নবকুমারকে প্রাথী হিসেবে মেনে নিতে পারছেন না। তাই আমি একা ‘কুম্ভ’ হয়ে ‘গড়’ সামলাচ্ছি।’’

কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতার কথাটা কতটা ঠিক, প্রমাণ মিলেছে সোমবার। সব রাজনৈতিক দলের প্রাথীরা রীতিমতো ঘটা করে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। ব্যতিক্রম শুধু কংগ্রেস। নবকুমারবাবু সোমবার একা মনোনয়ন জমা দেন।

মঙ্গলবার পর্যন্ত কাঁথির কোথাও কংগ্রেসের দেয়াল লিখন, পোস্টার, ব্যানার নেই। প্রাথীকে নিয়ে দলের অন্দরে ক্ষোভের চোরা স্রোত না কি প্রকাশ্য রাস্তাতেও নেমেছে। অভিযোগ, কাঁথি চৌরঙ্গি মোড়ে নবকুমারবাবুকে একা পেয়ে জেলা কংগ্রেস নেত্রী রিনা দাস ক্ষোভ জানিয়েছেন।

কর্মীরা দলীয় প্রাথীর সঙ্গে মনোনয়ন জমা দিতে না যাওয়ায় ক্ষুব্ধ মহকুমা সভাপতি গঙ্গারাম মিশ্র। তিনি দলীয় দফতরে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘ব্যক্তি নয়। দল সবার আগে। কোনও কোনও নেতা কর্মী এটা ভুলে যাচ্ছেন। তাই অভিমানে দলীয় দফতরে যাচ্ছি না।’’

এমন পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন প্রার্থী নবকুমার নন্দ। তিনি একবার শৈলজাবাবুর বাড়ি আর একবার গঙ্গারাম মিশ্রের বাড়িতে দৌড়োচ্ছেন। ভোটের আর বেশি দেরি নেই। সমাধান সূত্র কবে মেলে, সে দিকেই তাকিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Congress Group clash
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE