পাকড়াও। ভুয়ো চিকিৎসক
ভুয়ো রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করায় ফের এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হল। মঙ্গলবার রাতে পটাশপুরের মাংলামাড়ো থেকে গ্রেফতার করা হয় দেবপ্রসাদ সিংহ নামে ওই ব্যক্তিকে। অভিযোগ, ভুয়ো ডিগ্রি এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রোগী দেখতেন তিনি। যদিও এগরার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সব্যসাচী সেনগুপ্ত বলেন, “রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভুয়ো তা দেখা গিয়েছে। কিন্তু ওই ব্যক্তির অন্য ডিগ্রিগুলো যাচাই করার কাজ চলছে। একটু সময় লাগবে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, দেবপ্রসাদ সিংহ হাওড়ার বাসিন্দা। গত তিন বছর তিনি মংলামাড়োর একটি ল্যাবরেটরিতে ডিপি সিংহ নামে প্র্যাকটিস করতেন। প্রেসক্রিপশনে লেখা— এমবিবিএস, এমডি (মেডিসিন), এমআরসিপি (লন্ডন) ইত্যাদি। এলাকায় তিনি নিজেকে ‘এক্স-আর্মি কন্সালটেন্ট ফিজিশিয়ান’ হিসাবেও প্রচার করেছিলেন। সোম থেকে শুক্র রোগী দেখতেন তিনি।
বাসিন্দাদের দাবি, গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করতেন। জীবনযাত্রার মানও এমন রাখতেন যাতে কেউ সন্দেহ না করে। কিন্তু সন্দেহ হওয়ায় কয়েকজন রোগীর পরিবারের লোকেরাই তাঁর রেজিস্ট্রেশন নম্বর পরীক্ষা করেন মেডিক্যাল কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে। দেখা যায় ওই নম্বর বীরভূমের এক চিকিৎসকের।
সে খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয়রা তাঁর চেম্বারের সামনে বিক্ষোভ দেখতে শুরু করেন মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। খবর পেয়ে পটাশপুর থানার পুলিশ গিয়ে দেবপ্রসাদবাবুকে আটক করে থানায় আনে। প্রয়োজনীয় কাজগপত্র দেখাতে না পারায় পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে প্রতারণার মামলা দায়ের করেছে। বুধবার কাঁথি আদালতে তোলা হলে বিচারক দেবপ্রসাদকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
এই নিয়ে এগরা মহকুমায় পরপর তিনজন চিকিৎসক গ্রেফতার হলেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “এগরা তুলনামূলক ভাবে পিছিয়ে পড়া মহকুমা। সম্ভবত সেই কারণে এখানে এ ধরণের ঘটনা সহজে ঘটতে পারছে। আমরা খতিয়ে দেখছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy