সোনা চুরির অভিযোগে দুই দুই যুবককে পাকড়াও করে গণ ধোলাই দিল জনতা। জখম যুবকদের উদ্ধার করতে এসে বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবিতে বেশ কিছুক্ষণ পুলিশের গাড়ি ঘেরাও করে রাখেন এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার দুপুরে পশ্চিম মেদিনীপুরের সাঁকরাইল থানার কুলটিকরি বাজারের ঘটনা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন দুপুর বারোটা নাগাদ কুলটিকরি বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী দীপককুমার বর্মণের দোকানে দুই যুবক সোনার লকেট কিনতে আসেন। পছন্দ মতো একটি লকেট দীপকবাবু ওজন করার সময় ওই যুবকরা বাকি চারটি সোনার লকেট হাতিয়ে নিয়ে ছুট লাগান। দোকান থেকে বেরিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন দীপকবাবু। ইতিমধ্যে মোটর বাইকে চেপে ওই দুই যুবক পালানোর চেষ্টা করলে তাঁদের ঘিরে ধরেন আশাপাশের লোকজন। জনতার হাতে ধরা পড়ে যান দুই যুবক। শুরু হয় উত্তম মধ্যম গণ ধোলাই। যুবকদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় সোনার লকেট। খবর পেয়ে সাঁকরাইল থানার পুলিশ গুরুতর জখম ওই দুই যুবককে উদ্ধার করতে এলে উত্তেজনা বাড়ে। এলাকায় পুলিশি নজরদারি বাড়ানোর দাবিতে পুলিশের গাড়ি ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বাসিন্দারা। অবশেষে জখম দুই যুবকদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুই যুবককে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। স্বর্ণ ব্যবসায়ী দীপককুমার বর্মণ বলেন, “খোয়া যাওয়া লকেট ফিরে পেয়েছি, তাই পুলিশে আর লিখিত অভিযোগ জানাই নি।” দীপকবাবু পুলিশে অভিযোগ না করলেও দুই যুবকের পরিচয় খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের দাবি, ওই যুবকরা তাঁদের বাড়ি ওড়িশায় বলে জানিয়েছেন। তবে নিজেদের যে পরিচয় ওই যুবকরা দিয়েছেন, সে ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দিহান পুলিশ। দুই যুবকই তাঁদের নাম ‘গোলাম’ বলে জানিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের দাবি। সুস্থ হওয়ার পরে যুবকদের জেরা করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy