লোকারণ্য: তিনদিনের ছুটিতে ভিড় দিঘায়। নিজস্ব চিত্র
পাহাড়ে অশান্তি, তাই ভিড় উপচে পড়ছে সমুদ্রে। শনিবার দুপুর থেকেই দিঘা, শঙ্করপুর, মন্দারমণি, তাজপুরে মানুষের মাথা গোনা দায়। এরই মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন।
শনিবার বিকেলেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকখালির সমুদ্রে তলিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক শিশু-সহ তিনজনের। তার প্রেক্ষিতে পূর্ব মেদিনীপুরের সৈকতগুলিতে শুরু হয়েছে কড়া নজরদারি। দিঘায় আনা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী। সৈকতে নুলিয়াদের পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, “ওল্ড দিঘা থেকে নিউ দিঘা পর্যন্ত জলপথে স্পিড বোটে নজরদারি চালাচ্ছে দিঘা কোস্টাল পুলিশ। সৈকতে মাইকে সচেতনতার প্রচারও করা হচ্ছে।’’
শুধু সৈকতের ভিড় নয়। দিঘা সীমানা পেরলেই ওডিশা। পুরীর রথের টানে বহু মানুষ ওডিশাও যাচ্ছেন। ফলে অতিরিক্ত সতর্কতা রয়েছে সীমানা এলাকায়। শুরু হয়েছে পুলিশি টহল। যানবাহনের গতিবিধির উপর নজরদারি চালাতে দিঘা জুড়ে চলছে নাকা।
রবিবার রথ, সোমবার ইদ— টানা ছুটির মরসুমে তাই শুক্রবার রাত থেকেই একে একে আসতে শুরু করেছেন পর্যটকেরা। হোটেল বুকিং আগেই করা ছিল। অনেকে অবশ্য সৈকত শহরে এসে ঘর খুঁজেছেন। সকলেই যে ঘর পেয়েছেন এমন নয়। বেশিরভাগ হোটেলেই ‘নো রুম’ বোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিছু হোটেল চড়া দামে ঘর ভাড়া দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ। অভিযোগ উঠছে ঘর নিয়ে দালালিরও।
নদিয়া থেকে সপরিবারে দিঘা এসে এমনই অভি়জ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন বিজয় রায়। তিনি বলেন, “বেশ কয়েকটি হোটেল ঘুরলাম, ঘর নেই। শেষে নিউ দিঘায় এক এজেন্টের মাধ্যমে ঘর মিলল, চড়া ভাড়ায়।’’
দিঘা শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রবিবার দিঘায় প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ এসেছেন। আর প্রায় সাড়ে ছয়শো হোটেল। সর্বত্র নজরদারি করা খুব সহজ নয়। তবে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে কোনও অভিযোগ এলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’’ কিন্তু অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের অশান্তি দূরে সরিয়ে রেখে মানুষ মেতেছে উৎসবে। সকাল থেকেই সেই ছবি ধরা পড়েছে সমুদ্রের পা়ড়ে পাড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy